সিরাজদিখানে কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর, এলাকা জুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আতঙ্ক
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের পূর্ব কোটগাও গ্রামের গত শুক্রবার রাতে শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের প্রতিমা ভেঙে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় এলাকা জুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আতঙ্কের সৃস্টি হয়েছে। পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূর্বকোটগাও গ্রামের বাৎসরিক কালীপূজার পরের দিন মহোৎসব এবং এর পরের দিন মৎসমূখী (মাছ খাওয়া) অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
গত মঙ্গলবার পূজা শেষে গত শুক্রবার দুপুরে মৎসমূখী শেষে রাতে গান বাজনা ও ডিজে বক্স বাজানোর অনুষ্ঠানে রাত সারে দশটার সময় মদ খেতে চেয়ে মদ না পেয়ে একই এলাকার পাশের কালারায়ের চর গ্রামের আবুলের ছেলে আক্রামসহ ১২/১২জন সন্ত্রাসী হামলা করে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। পূর্ব কোটগাও গ্রামের অর্জুন দাসের ছেলে অজয় দাস(২০) বলেন, শুক্রবার রাতে নাচগান চলার সময় মন্দীর থেকে আমাকে মন্দিরের পাশে আলু ক্ষেতে ডেকেনিয়ে গান শুনতে আসা আক্রামসহ ১০/১২জন আমার কাছে খাওয়ার জন্য মদ চায়।
আমি ওদের মদ নেই বলে জানালে বকাঝকার এক পর্যায়ে মন্দিরের প্রসাদ তৈরীতে রান্না করতে আনা চলা দিয়ে আমাকে পিটায়। আমার ডাক চিৎকারে শংকর চন্দ্র দাসের ছেলে আকাশ বাঁচাতে আসলে তাকেও চলা দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ফাটিয়ে ফেলে। আমাদের দুজনের চিৎকারের মন্দিরের লোকজন ছুটে এসে আক্রাম শেখকে ধরলেও বাকিরা সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুখরঞ্জন মনি দাস বলেন,মারপিটের ঘটনা শুনে আমি মন্দিরে এসে দেখতে পাই পাশের গ্রামের আবুলের ছেলে আক্রামকে ওরা আটকিয়ে রেখেছে।সব কিছু শুনার পর আমি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দত্ত,আব্বাস মেম্বার ও সিরাজদিখান থানা পুলিশকে খবর দেই। এর মধ্যে এলাকার ইকবাল হোসেন নামে এক ছেলে বিষয়টি মিমাংশা করে দেওয়ার কথা বলে আক্রামকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর মোহাম্মদ আজীম,উপজেলা র্পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দত্ত,রশুনিয়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডাঃ রনবীর ঘোষ ও সিরাজদিখান থানা পুলিশ এসে তা পরিদর্শন করে। এদিকে পূজার তিনদিন পরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় এলাকা জুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট অজয় চক্রবর্তী ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি এড. শমরেশ নাথ। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত কোন অভিযোগ এখনও পাইন,অভিযোগ পেলে আশা করছি দ্রæত এসব সন্ত্রাসীকে আটক করা হবে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সববিস্তারিত পড়ুন
স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার চাচাতো ভাইয়েরবিস্তারিত পড়ুন