আটক দুইজনের স্বীকারোক্তি
সিরাজদিখানে স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে যখম ঘটনার রহস্য উদঘাটন
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজদিখানে স্কুল ছাত্রীকে কুপেিয় জখমের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান কারণেই তাহমিনা জাহান আখির মাথায় রডের আঘাত করা হয় পরিকল্পিত ভাবে। রবিবার রাতে গ্রেফতার হওয়া নাহিদ দেওয়ান (২৫) সব স্বীকার করেছে। প্রেম প্রস্তাবে ব্যর্থ হওয়া বখাটে রোমান হাওলাদারের (২৭) সাথে যুক্ত হয়ে এই হামলা চালনো হয়।
বিস্ময়কর হলো-মালেশিয়া প্রবাসী রবিন হাওলাদার এই হামলার পরিকল্পনার সাথে জড়িত। আখিকে মারার জন্য প্রবাস থেকে রবিন ২০ হাজার টাকা পাঠায়। ৩ দিন আগে শনিবার গ্রেফতার হওয়া রোমানের মোবাইল থেকে রবিনের সাথে হামলা সংক্রান্ত পরিকল্পনার তথ্যাদি ফেস বুকের ম্যাসেস থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে হামলাকারী নাহিদ দেওয়ানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সে পার্শ্ববর্তী ফুরসাইল গ্রামের দিলু দেওয়ানের পুত্র। প্রেম প্রস্তাবে ব্যর্থ হওয়া রোমান হাওলাদার এবং নাহিদ দেওয়ানসহ তিনজন আঁখির বাড়িতে গিয়ে এই হামলা চালায়। জমিজমা নিয়ে আঁখিদের পরিবারের সাথে চাচাতো ভাই রবিন হালদারের (২৮) পরিবারের সাথে বিরোধ ছিল।
এই বিরোধ ও আখিকে পছন্দের কারণেই আপন চাচাতো বোনের উপর হামলার পরিকল্পনা করে প্রবাসী রবিন। শনিবার গ্রেফতার হওয়া এই ঘটনার মূল অপরাধী রোমান হাওলাদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শনিবার এই রিমান্ড মঞ্জুর হলেও জিঞ্জাসাবাদ শুরু হয়নি। তবে জেলা কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সিরাজদিখানায় থানায় নেয়া হতে পারে।
গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে আঁিখর মাথায় পেছন দিক দিয়ে রড দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে আঁিখ। গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বাড়িতে লোকজন না থাকায় তারা বিনা বাধায় বাড়ি ত্যাগ করে।
পরে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাহমিনার ভাই জসিম উদ্দিন জানান, হামলাকারীরা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাহমিনার শ্বাস রোধ করার চেষ্টা করেছিল। একজনের হাতে কামড় দিয়ে ও আরেকজনকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে সে। গামছা দিয়ে দুর্বৃত্তদের মুখ বাঁধা থাকায় সে তাদের চিনতে পারেনি। তবে এখনও তার চিকিৎসা চলছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌছ হাসান জানান, আখিকে যখম করার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। প্রেম প্রত্যাখান ও পারিবারিক শত্রæতার জেরে এ ঘটনাটি ঘটে। মুল কল্পনাকারি মালয়েশিয়া প্রবাসী আখির চাচাত ভাই রবিন ২০ হাজার টাকা দিয়ে এ জঘন্যতম কাজটি করিয়েছে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে ৩ জন এদেরে মধ্যে নাহিদ মেয়েটিকে জাপটে ধরে আর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলত রোমান হাওলাদার সে আখির মাথায় রড দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে। সে সময় বাড়ির বাহিরে পাহাড়া দেয় আরেকজন, খুব শিগ্রই তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সববিস্তারিত পড়ুন
স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার চাচাতো ভাইয়েরবিস্তারিত পড়ুন