সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের খুব বেশি টাকা নেই : অর্থমন্ত্রী
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের খুব বেশি টাকা নেই বলে আবারও দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেছেন, ‘আমি সংসদে যে স্টেটমেন্ট দিয়েছি, তাতে এটা প্রমাণিত হয়- আমাদের খুব বেশি লোকের টাকা সুইস ব্যাংকে নেই।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী অর্থ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নো নো কোনো অর্থ বাড়েনি, বরং গত বছরের তুলনায় কমেছে।’
সুইস ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ঢাকায় থাকেন এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের ওখানে টাকা রাখার জন্য প্রলুব্ধ করেন দুদক চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এ ধরণের কোনো তথ্য নেই।
এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো বাংলাদেশিদের অর্থ নিয়ে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এবং সুইজারল্যান্ডের মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে যে ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব হয় সেটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাস্তবে এটি মোটেই অর্থ পাচার নয়। এসব হিসাবে ব্যক্তি খাতে অনেক বাংলাদেশী নাগরিক আছেন যারা বিদেশে কাজ করেন অথবা স্থায়ীভাবে অবস্থান করেন। তাদের হিসাবও এটায় অন্তর্ভূক্ত আছে। সে হিসাবটি দেয়া যাচ্ছে না। কেননা যেসব বাংলাদেশী তাদের পাসপোর্টকে পরিচয় চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাদের সংখ্যা আমাদের জানা নেই। এতে প্রতিপন্ন হয়, টাকা পাচারের বিষয়টি মোটেই তেমন কিছু নয়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যে হিসাবগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এগুলো হলো লেনদেনের হিসাব, সম্পদের হিসাব। এটাকে অন্যায়ভাবে পাচার বলে প্রচার করা হয়েছে, এজন্য দেশে একটা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচার হয় না এ কথা বলা যাবে না। সত্যিই কিছু পাচার হয়, কিন্তু এটা নজরে পড়ার মতো নয়, অত্যন্ত যৎসামান্য।’
অর্থ বছর পরিবর্তন প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এতো জলদি হবে না। আরো দুই-তিন বছর লাগবে। আলোচনাটা শুরু হোক, তারপর দেখা যাবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন