শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

সুদের চড়া হার মানা হবে না : অর্থমন্ত্রী

উন্নয়ন কাজে অর্থ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দাতাদের চড়া সুদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা নিম্নমধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছি। তাই বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এখনই সুদের হার বাড়াতে চাচ্ছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে যাব, এটি সত্যি। কিন্তু তাই বলে এখন থেকেই সুদের হার বেশি দিতে হবে, এটা কোনো কথা না।’

বুধবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (আইপিওএ) এর প্রস্তুতি এবং এলডিসি দেশ থেকে উন্নয়নে নির্দেশকসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনায় এ সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, দাতাদের সাহায্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন অর্থমন্ত্রী।

মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে মুহিত বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে এলডিসির তালিকা থেকে বের হতে হলে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ দরকার। তবে প্রতি বছর এখন আমরা যে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন বিনিয়োগ করছি, এটি যদি ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখা যায় তাহলে মধ্যম আয়ের দেশে যেতে কোনো অসুবিধা হবে না। তবে এ জন্য কোনো ভাবেই উচ্চ হারে সুদের বিষয়টি মেনে নেয়া হবে না।’

দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তবে বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের বিরোধিতা করে মন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণ করায় এসব কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হব। কেননা আমাদের অর্থনৈতিক অনেকগুলো সূচকই ভালো অবস্থানে।’

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের অর্থায়নের চাহিদা, প্রচলিত ও নতুন অর্থায়ন উৎস, অবকাঠামো দুর্বলতা, রাষ্ট্রীয় সংকট এবং সম্ভাবনার আলোকে সামষ্টিক জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন উত্তরণে প্রধান স্তম্ভ এ কথা বিবেচনায় রেখে অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের নতুন নতুন উৎস খুঁজে বের করা এবং কর ভিত্তি সম্প্রসারণের কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

মন্ত্র্রী বলেন, সরকার বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক সহায়তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ উৎসাহিত করতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হতে ছয়টি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য উন্নয়ন সহযোগী এবং জাতিসংঘের করণীয়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলের এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর স্বল্পোন্নতের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে আর্থিক ও সম্পদের ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছে।

খসড়া প্রতিবেদনে জাতীয় উৎপাদন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (আইপিওএ) প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহযোগীদের মোট দেশজ আয়ের (জিএনআই) শতকরা শূন্য দশমিক ১৫ থেকে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সহায়তা নিশ্চিত করতে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের করণীয় বিষয়ে যে সব কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, উত্তরণের কৌশল এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহারে জাতিসংঘের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সহায়তা দেবে। এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং উত্তম চর্চা বিনিময়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অনুষ্ঠানে খসড়া প্রতিবেদনের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মো. আলকামা সিদ্দিক। সভাপতিত্ব করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহউদ্দিন।

আগামী বছর তুরস্কে ‘ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন-আইপিওএ’র মধ্য মেয়াদি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। আজকের সভায় ওই রিপোর্টের খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য আইপিওএতে গ্লোবাল কো-অর্ডিনেশন ব্যুরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীবিস্তারিত পড়ুন

হাইকোর্টে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

হাইকোর্ট বিভাগে ১২ জন বিচারপতিকে আপাতত প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়াবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকা গ্রাফিতি হেঁটে দেখলেন ড. ইউনূস

জুলাই ও আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়বিস্তারিত পড়ুন

  • মাধ্যমিকে ফের চালু হচ্ছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের রিভিউ আবেদন
  • শিক্ষা ভবনের সামনে সড়কে শুয়ে শিক্ষকদের অবরোধ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৩ জনের মৃত্যু
  • এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
  • ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
  • ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
  • অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার সময় ওএসডি হওয়া যুগ্ম সচিব আটক
  • শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী উদযাপিত, আজষ্টমী ও কুমারী পূজা
  • যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে: সরকারকে সেলিমা রহমান
  • রাস্তা দ্রুত মেরামত না হলে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি
  • ডিমের বাজারে আগুন: মিডিয়াকে দুষলেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা