সুপারিশ ছাড়া কোনো চাকরি হয় না, এটাই বাস্তবতা
সরকারি, আধা-সরকারি এমনকি পাবলিক সার্ভিসেও চাকরি পেতে সুপারিশ লাগে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। সুপারিশ ছাড়া কোনো চাকরি হয় না, এটাই বাস্তবতা।
শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম ও বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরি।
শামসুল আলম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ পছন্দ করি না। কিন্তু বাধ্য হয়ে অনেক সময় করতে হয়। মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একজন মন্ত্রী বলতে পারবেন সুপারিশ কাকে বলে। যে দেশে সুপারিশ ছাড়া কাজ হয় না, সে দেশের কি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক পারফরম্যান্স রিপোর্টে মার্ক ৯৮-৯৯ শতাংশ দিতে হয়। সবাই যদি এমন মার্ক পায় তাহলে চলবে কী করে। সুপারিশ ছাড়া আগামী এক বছর সব ক্ষেত্রে চাকরি নিশ্চিত করা যায় কিনা সেটা পরীক্ষামূলকভাবে দেখা যেতে পারে। শিক্ষায় সবচেয়ে বির্পযয় মাধ্যমিক পর্যায়ে। এখানে ঝরে যাওয়ার হারও বেশি। এর পেছনে সব মাধ্যমিক স্কুল এমপিও করাকে দায়ী করেন তিনি। তার ভাষায়, মাধ্যমিকে এমপিও দিয়েই শিক্ষার লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
জবাবে গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক সুপারিশ আমাদের বিব্রত করে। সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা দরকার আছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মহিউদ্দীন খান বলেন, মানসম্মত শিক্ষা বলতে আমরা কি বুঝি সেটা আগে ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, মান নিশ্চিত করতে কমিটি হয়েছে। ১২টি বই সংশোধনের কাজ চলছে।
শিক্ষাবিদ মনজুর আহম্মেদ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি আছে। সেটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এই দুর্নীতি কীভাবে দূর করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষার মান যে প্রশ্নবিদ্ধ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত কয়েক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট নিয়েও অধিকাংশই পাস করতে পারেনি। এছাড়া শিক্ষায় শিক্ষকদের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন