সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এখন যে-কোন সংবাদ বাতাসের আগেও পৌছে দিতে বেশি কার্যকর ! সে গুজব হোক বা সত্যি ফেসবুকের ব্যাপক ব্যাবহারের ফলশ্রুতিতেই দেশের এ প্রান্ত অথবা পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে নিমিষেই।মাঝে মাঝে এর সুফল যেমন পাচ্ছি আমরা কুফলেরও শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এবার তেমনি ‘কুফলের’ শিকার হলেন সাবেক রাস্ট্রপতি হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও ব্যারিস্টার দিলারা।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও ব্যারিস্টার দিলারাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কিছু জায়গায় ভাইরাল হয়ে পড়া কিছু ছবিকে ‘ঘৃণ্য অপপ্রচার’ উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও ঘটনার শিকার ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ।

নিজের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এগুলো অপপ্রচার, এসব অপপ্রচারের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। যেটা নিয়ে কথা বলতেই রুচিতে বাধে।

যে ছবিগুলো ছড়িয়ে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে সেগুলো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো এক বছর আগের ছবি। আমার নির্বাচনী এলাকা গাইবান্ধার একটি প্রোগ্রাম। এটা ছিল আমার বাসভবনে যেখানে আমার বাবা-ভাইসহ পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুরের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সবাই উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, এসময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এর কিছুদিন আগে স্যার (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) অসুস্থ ছিলেন। আমরা তার সুস্থতা ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় মিলাদের আয়োজন করি। যেহেতু মিলাদে নারীরা অংশ নেন না তাই আমি মিলাদে ছিলাম না। মিলাদের পরে স্যারসহ দোয়ায় অংশ নেই। সেই ছবিকে ফটোশপে বিকৃত করেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এর বিচার আমি দেশবাসী তথা শিক্ষিত বিবেকবান মানুষের উপর ছেড়ে দিলাম। আমার নিন্দা জানানোরও ভাষা নেই’।

প্রসঙ্গত, গত কদিন ধরেই ফেসবুকের হোমপেজে নানা চটকদার ক্যাপশানে ভেসে বেড়াচ্ছে কিছু ছবি।আর এই ছবির মুল বিষয়বস্তু এরশাদকে ঘিরে । নানা মুখরোচক আলোচনা চলছে। ছবিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে টুপি পরিহিত অবস্থায় ঘোমটা মাথায় দেয়া ব্যারিস্টার দিলারার সঙ্গে মোনাজাতরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ওই কক্ষে আরো বেশ কিছু সংখ্যক টুপি পরা মানুষকে দেখা যাচ্ছে। অন্য আরও একটি ছবিতে দিলারার সঙ্গে এক টেবিলে বসে এরশাদকে খেতে দেখা যাচ্ছে। তিনি তাকে যত্নে তরকারি তুলে দিচ্ছেন আর এরশাদ মাথা নিচু করে খুব মনোযোগের সাথে খাচ্ছেন।

আর এই ছবিগুলো দিয়েই অত্যান্ত কৌশলে ফেসবুকে অপপ্রচারের শিকার হলেন সাবেক এই রাস্ট্রপতি। অনেকেই মনে করছেন, এরশাদ আবারো বিয়ে করেছেন! বেশ কয়েক দিন ধরেই এ নিয়ে কানাঘুষা চলছে। গুজব ছড়াতেও কম করছেন না অনেকে।