শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

সেই ভিক্ষুকের মেয়ে এখন জার্মানির এমপি

বাংঙালী মেয়ে নন্দিনী জন্ম উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। এই রায়গঞ্জ এবং দুর্গাপুরে নন্দিনীর বেড়ে ওঠা। নন্দিনীর বাস্তব সত্য পথের প্যাচালীর অপু দুর্গা কেও হার মানিয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ হাসপাতালের ঠিক একটু পিছনে নন্দিনীদের বাড়ি। নন্দিনীর বাবা সমৃদ্ধ কোন ব্যবসায়ী কিংবা চাকুরিজীবী নয়। নেই কোন পৈত্রিক সম্পত্তির বৈভব। নন্দিনীর বাবা হরিনাথ ফকির ছিলেন স্থানীয় একটি মন্দিরের দায়িত্বে। প্রতিদিন মন্দিরের আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে চাউল তুলতেন মন্দিরের জন্য।

সেই চাউলের একটি অংশ মন্দিরে দিতেন আর একটি অংশ তিনি নিজে রাখতেন। মাঝেমধ্যে নন্দিনী তার বাবার সাথে গ্রামে গ্রামে ঘুরতেন চাউল সংগ্রহ করার জন্য। নন্দিনীর বয়স যখন ছয় বছর তখন তিনি ভর্তি হন দুর্গাপুর স্কুলে। এখান থেকে ভালো ফলাফল করে নন্দিনী আসেন রায়গঞ্জ কলেজে।

নন্দিনীর বয়স যখন আঠারো বছর তখন হরিনাথ ফকির ইহলোক ত্যাগ করেন। নন্দিনীর আর কোন ভাই বোন ছিলেন না। নন্দিনী তার মাকে নিয়ে খুব বেকায়দায় পড়েন কিন্তু হাল ছাড়েনি। ব্যাপক প্রতিকুলতার মাঝে নন্দিনী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য ভর্তি হন।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা কালীন নন্দিনী একটি ছোট্ট পত্রিকায় খন্ডকালীন চাকরি পান মডারেটর হিসেবে। নন্দিনী বেশ সফলতার সহিত তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে আবারো বাধ সাধে বিধাতা। নন্দিনীর একমাত্র ভরসা তার মা পৃথিবী থেকে স্বর্গে চলে যান। এক অসহায় অবস্থায় নন্দিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে। নন্দিনীর আপন বলতে এই মর্ত্যে আর যে কেউ থাকলো না।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই কে অবাক করে নন্দিনীর ফলাফল। ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ভাষা ও সংস্কৃতিতে উচ্চতর গবেষণার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি নিয়ে পাড়ি জমান সুদূর জার্মানিতে। জার্মানির সারলান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

সারলান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের ফান্ড বৃদ্ধির জন্য একসময় আন্দোলন করেন। নন্দিনী সেই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। সবার দৃষ্টি পড়ে নন্দিনীর উপর, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নন্দিনী জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানি দলের সাথে নন্দিনীর সখ্যতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। একসময় এই পার্টিতে নন্দিনীর অবস্থান হয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে (এশীয় অঞ্চল)।

সেই সাথে এই পার্টি থেকে প্রকাশিত পত্রিকার মূল সম্পাদনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। গতবছরের নভেম্বরে সারলান্ডের আনাট্রপলি অঞ্চলের উপনির্বাচনে নন্দিনী তার পার্টি থেকে নমিনেশন পাই এবং সিডিএফের প্রার্থী জন্টস কে তিন শত দুই ভোটের ব্যাবধানে হারান।

কলকাতা থেকে যাবার পর নন্দিনীর প্রায় দশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে নন্দিনী দেশে এসেছেন মাত্র দুইবার তবে নন্দিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জার্মানিতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান শিক্ষার্থীদের জন্য। নন্দিনী জানিয়েছেন বাইরে থেকে যারা জার্মানিতে পড়াশোনা করতে আসেন তাদের জন্য জার্মান ভাষা বাধ্যতামূলক। লেভেল 2 পর্যন্ত কিন্তু এই নিয়ম ভারতীয়দের জন্য অনেক কঠিন তাই তিনি জার্মান শিক্ষামন্ত্রণায়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় চাইবেন।

নন্দিনী ইতোমধ্যে বিয়ে করেছেন সারলান্ড অঞ্চলের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী বেঞ্জামিনকে। নন্দিনী– বেঞ্জামিন দম্পতির আছে দুই ছেলে। নন্দিনী আগামী বছরের মার্চে কলকাতা আসবেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান,নন্দিনীর পুর্ব পুরুষের ভিটা যে বাংলাদেশে ছিলো একথা নন্দিনী তার বাবা মায়ের মুখে শুনেছেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ