সেদিন টাইটানিককে বাঁচাতে না এসে এড়িয়ে গিয়েছিলো কেন সেই জাহাজটি?
লিড টাইটানিক-এর পাঠানো বিপদসংকেত দেখেও স্রেফ উপেক্ষা করে গিয়েছিল একটি জাহাজ। দুর্ঘটনার সময়ে সেই জাহাজটিই ছিল টাইটানিক-এর সবথেকে কাছে। কিন্তু কেন বিপদ সংকেত পেয়েও এড়িয়ে গিয়েছিলো?
টাইটানিকের সবথেকে কাছাকাছি ছিল এসএস ক্যালিফোর্নিয়ান। এই তথ্য হয়তো অনেকেরই জানা। টাইটানিক থেকে যখন ক্রমাগত বিপদসংকেত পাঠানো হচ্ছে, তখন তা এসএস ক্যালিফোর্নিয়ান-এর ক্যাপ্টেনের চোখে পড়েছিল। কিন্তু তিনি সেই বিপদসংকেত উপেক্ষা করে যান। জাহাজ নিয়ে এগিয়ে চলেন। পিছনে তখন বরফ-ঠান্ডা জলে একটু একটু করে ডুবছে টাইটানিক। মরছে মানুষ।
এ পর্যন্ত নির্মম এই ঘটনা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু লেখক ডেভিড ডায়ার এর কারণ অনুসন্ধানে নেমেছিলেন। কেন এসএস ক্যালিফোর্নিয়ান এল না, অনুসন্ধান করে একটি তত্ত্ব খুঁজে বের করেছেন ডায়ার। লিখে ফেলেছেন নতুন বই, ‘দ্য মিডনাইট ওয়াচ’। ডায়ার বলছেন, ‘আমেরিকা এবং ব্রিটেন, দু’দেশের সরকারই তদন্ত চালিয়েছিল। দু’টি তদন্তেই বলা হয়, ক্যাপ্টেন জাহাজ নিয়ে গেলে টাইটানিক-কে বাঁচানো যেত।’
কিন্তু কেন ক্যালিফোর্নিয়ান-এর ক্যাপ্টেন টাইটানিকের পাঠানো ডিসট্রেস সিগন্যাল উপেক্ষা করলেন? ডায়ার বলছেন, ‘নর্থ অ্যাটলান্টিকে সেই রাত ছিল একেবারে থমথমে, নিঝুম। আকাশে চাঁদ নেই, বাতাসও বইছে না। সমুদ্র একেবারে শান্ত। ফলে ক্যালিফোর্নিয়ান-এর ক্যাপ্টেন তার জাহাজের মুখ টাইটানিক-এর দিকে ঘোরালে খুব বেশি সময় লাগত না ঘটনাস্থলে আসতে। কিন্তু তিনি তা করেননি। এই কাজ অমানবিক। কেননা, সেই সময়ের যাবতীয় তথ্য আমি সংগ্রহ করেছি। তাতে দেখেছি, জাহাজ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাই ছিল না।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন