সেরা শিক্ষকের শিরোপা পেলেন অন্ধ স্বামী-স্ত্রী
ইন্দোরের বাসিন্দা এক দম্পত্তি নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আলোকিত করলেন অনেকের জীবন।
দৃষ্টিশক্তি নেই দু’জনেরই। কিন্তু তারা সফল শিক্ষক৷ তারা হলেন মীনা ও সঞ্জয়৷ ইন্দোরের সরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে সেরা শিক্ষক হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তারা৷
কঠোর পরিশ্রম ও সমস্যাকে জয় করে তারা ইন্দোরের ৪০ জন শিক্ষকের মধ্যে সেরার সম্মান পেলেন৷ মঙ্গলবার ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তাদের হাতে এ সম্মান তুলে দেন।
মীনা তার শিক্ষকতার ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৭ সালে সানভির তেশিল দুধদিয়াতে৷ ২০১২ সালে তারা ইন্দোরে ট্রান্সফার হন।
মীনা জানান, দৃষ্টিশক্তি না থাকার কারণে প্রথম প্রথম খুবই অসুবিধায় পড়তে হতো। অনেক ছাত্রছাত্রী তার সুযোগও নিত৷ কিন্তু এখন আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করছি৷
তিনি বলেন, তবে এখন আর পড়ুয়ারা ক্লাস নষ্ট করে না। তিনি পড়ুয়াদের মধ্যে একজনকে বলেন বইটি পড়তে। এরপর তিনি ওদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন৷
মীনা সোশ্যাল সায়েন্সের শিক্ষক, তিনি নভীন মহালাভকন্যা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ান৷
সঞ্জয়ও ওই একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ দুজনেই খুবই টেক-স্যাভি এবং মাল্টিমিডিয়া ফোনও ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন৷
মীনা জানিয়েছেন, ব্রেইলে বই পাওয়া যায় কিন্তু একটা সাধারণ বইয়ের সমান ব্রেইলের চারটি বই৷ তার তিন বছর বয়সে ছানি ধরা পড়েছিল। তারপর সার্জারির পর তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন৷
নভীন মহালাভকন্যা স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রতিভা লাধ জানিয়েছেন, তারা কাজের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সফল৷ তাদের কাজের প্রশংসা যত করা যায় তত কম৷ সঞ্জয় এবং মীনার দুই মেয়ে আছে তাদের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলেই প্রিন্সিপাল প্রতিভাদেবী জানিয়েছেন৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন