কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার ছয় ঘণ্টার মাথায় কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর ফলে আগামীকাল থেকে কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি চলবে।

ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মারামারি ও উত্তেজনার মুখে আজ রোববার দুপুর ১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শেষে কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেন অধ্যক্ষ ডা. মো. রুহুল আমিন খান।

এ সময় কলেজের ছাত্রদের আজ বিকেল ৫টা এবং ছাত্রীদের আগামীকাল সকাল ৭টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

ছয় ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ফের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শেষে অধ্যক্ষ ডা. মো. রুহুল আমিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন মহলের পরামর্শে কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। কলেজ যথারীতি খোলা থাকবে।’

‘আগামীকাল থেকে যথারীতি ক্লাস চলবে। তবে সাময়িকভাবে ছাত্র রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে’, যোগ করেন অধ্যক্ষ।

এ দিকে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গতকাল রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের উপাধ্যক্ষ (ভাইস প্রিন্সিপাল) সজল কুমার সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ।

সম্প্রতি নাসিরুল ইসলামকে সভাপতি ও রাজিব মাহমুদ রাজুকে সাধারণ সম্পাদক করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই কমিটির পক্ষে-বিপক্ষের ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একপর্যায়ে ওই কমিটির বিরোধিতাকারী পক্ষের ছাত্রদের সঙ্গে গতকাল রাতে মনছুর খলিল ছাত্রাবাসে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

ঘটনার ব্যাপারে কথা বলতে নাসিরুল ইসলাম ও রাজিব মাহমুদ রাজুসহ ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ আছে।