সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

সৌরশক্তিতে জেগে ওঠা চাষিরা

‘সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প’ কৃষকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ কাজ করছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং, নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধি, তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মতো মাথা ব্যথা নেই এখানে। অনেকটা আপন শক্তিতে জ্বলে ওঠার গল্পের বাস্তব রূপ। কৃষকের হতাশা যেখানে চরম পর্যায়ে সেখানেই শুরু হাসির ঝিলিক। এ সময় প্রত্যন্ত পল্লী জনপদে স্বল্পপরিসরে সৌরবিদ্যুতের কার্যক্রম দেখা গেলেও এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

সৌরবিদ্যুৎ এখন কেবল দু-একটি বাল্ব জ্বালানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, কৃষিখাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেচ ব্যবস্থাতেও অবদানের স্বাক্ষর রাখছে। বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন এই প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন স্বপ্নে জেগে উঠছেন কৃষি ভা-ারখ্যাত উত্তরাঞ্চলের চাষিরা। তাদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই প্রকল্প। পরীক্ষামূলকভাবে পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) আওতায় সৌরবিদ্যুতের পাইলট প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হলেও বর্তমানে জেলায় মোট ৪৪টি সেচ প্রকল্প চালু রয়েছে। আরো ৫০টি বাস্তবায়নের পথে। আগামী এক বছরে শুধু বগুড়া জেলায় ২০০টি এবং সারাদেশে ৫০০টি সেচ প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বগুড়ার সোনাতলার সুখানপুকুর, দিগদাইড়, গাবতলীর বালিয়াদিঘি, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, ধুনট এবং গাইবান্ধার উল্লাভরতখালীসহ ৪৪টি গ্রামে সোলার ওয়াটার পাম্প ইনফ্রাসট্রাকচার ইউকলের অর্থায়নে গ্রীন হাউজিং অ্যান্ড এনার্জি লিমিটেড (জিএইচইএল) নির্মাণ করেছে। ৮ শতাংশ জমিতে ওয়াটার পাম্প দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ বিঘা জমিতে সেচকাজ চালানো হলেও বর্তমানে এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে। পাম্পটি স্টিলের তারের মাধ্যমে ৩০ ফুট মাটির নিচে মোটর বসিয়ে পানি তোলা হয়। কোনো প্রকার ব্যাটারি ছাড়াই সরাসরি সূর্যের তাপে সোলার ওয়াটার পাম্পটি চালু হয়। বন্ধের জন্য রয়েছে মেইন সুইচ। ১৮৫ ওয়াটের ৩২ প্যানেলে ৫ হাজার ৩২০ ওয়াট দ্বারা পাম্পটি চলছে। ৪ প্লে¬টে ৩২টি সোলার রয়েছে। সোলারগুলো সূর্যের দিকে মুখ ঘুরে তাপ শোষণ করতে পারে। ১৮৫ ওয়াটের একটি পাম্প বসাতে সব মিলে খরচ পড়ে ২৪ লাখ টাকা থেকে ৩২ লাখ টাকা। একইভাবে বর্তমানে ১৫ হাজার ওয়াটের একটি পাম্প বসাতে সব মিলে খরচ পড়ে ৪৭ লাখ টাকা। এই পাম্পে ১৫০ বিঘা জমি সেচ দেওয়া যাবে।

এই পাম্প চালু করায় কৃষকরা ২ হাজার ৫শ টাকার পরিবর্তে এলাকা ভেদে ১ হাজার ৫শ এবং ১ হাজার ৮শ টাকায় ১ বিঘা জমিতে সেচ (পানি) নিতে পারছেন। ফলে কৃষকরা বোরো ও আমন ধানসহ যেকোনো ফসলের জমিতে পানি সেচ দিতে পারবেন। পাম্পের কোন শব্দদূষণ নেই। শুধুমাত্র সুইচের মাধ্যমেই চলে। গাবতলীর বালিয়াদিঘি গ্রামের কৃষক তোতা প্রামাণিক জানান, ‘৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ১ হাজার ৫শ টাকা বিঘা হিসেবে সেচ খরচ দিতে হবে ৬ হাজার টাকা। এই জমি শ্যালো মেশিনে সেচ দিলে খরচ পড়বে ১০ হাজার টাকা। সৌরবিদ্যুতের সেচ পাম্প বসানোর ফলে আমার খরচ বাঁচল ৪ হাজার টাকা।’

একই এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান জানান, ‘এই পাম্পে জমি সেচ দিলে লোডশেডিংয়ের ভয় থাকে না। আমরা চৈত্র মাসেও টেনশনমুক্ত থাকি। কৃষক খলিলুর রহমান, সায়েব আলী বলেন, চৈত্র মাসে জমিতে পানির বেশি চাহিদা আবার সূর্যের তাপমাত্রাও বেশি থাকে, এ কারণে পানি বেশি ওঠে। যখন সূর্যের তাপ কম থাকে তখন জমিতে পানির চাহিদা কমে যায়। ফলে পাম্পে পানি কম উঠলেও সমস্যা হয় না। বালিয়াদিঘি পাম্পের অপারেটর খোকন মিয়া জানান, ৩২টি সোলার প্যানেল দ্বারা নির্মিত পাম্প ১৮৫ ওয়াটের ক্ষমতাসম্পন্ন। তিনি বলেন, সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা হচ্ছে এই পাম্পের মাধ্যমে।

আপাতদৃষ্টিতে প্রকল্পটি ব্যয়বহুল মনে হলেও কৃষকের কাছে সৌরশক্তি ব্যবহার সহনশীল এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অন্যদিকে নতুন স্বপ্নে জেগে উঠছেন কৃষি ভা-ারখ্যাত বগুড়ার কৃষকরা। সৌরবিদ্যুতের পাম্পে সূর্যের আলো যত তীব্র হবে, পানিও তত বেশি উঠবে। আলো কমে গেলে মেশিন নিজেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাড়তি কোনো ঝামেলাও নেই। গ্রীন হাউজিং অ্যান্ড এনার্জি লিমিটেডের (জিএইচইএল) সোনাতলা শাখা ব্যবস্থাপক মো. হানিফ উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি ব্যয়বহুল মনে হলেও কৃষকের কাছে সৌরশক্তি ব্যবহার সহনশীল এবং ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ৩২টি সোলার প্যানেলের একটি সেচ পাম্পের খরচ পড়বে ৩২ লাখ টাকা। এই পাম্পের আওতায় ৩৫ থেকে ৪০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। ১ হাজার ৫শ ওয়াটের পাম্প বসাতে খরচ পড়বে ৪৭ লাখ টাকা। এই পাম্পের মাধ্যমে ১৫০ বিঘা জমি সেচের আওতায় আনা যাবে।

গাবতলী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানান, সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে সেচকার্যে আগ্রহ কৃষকের মধ্যে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের কারণে সৌরবিদ্যুতের প্রতি চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে সেচ দিলে সব সময় জমিতে গাছের গোড়ায় পানি থাকে। ফলে ফসল উৎপাদন বেশি হয়। এ অঞ্চলে বছরের প্রায় সারা মাসেই জমিতে কোনো না কোনো ফসল থাকেই। সব সময় বৃষ্টি না হওয়ার ফলে নিয়মিত পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হয় জমিগুলোতে। সৌরবিদ্যুতের এই প্রকল্পগুলো চালু হওয়ায় কৃষকরা জমিতে সেচ নিয়ে অন্তত চিন্তামুক্ত এখন। তবে যত বিঘা জমিতে ফসল চাষ হয় সে তুলনায় সৌরবিদ্যুতের পাম্পের সংখ্যা কম। আগামী বছরে পাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা হতে আছে সেটি বাস্তবায়ন হলে আরো বেশি কৃষক সেচ সুবিধা পাবেন।- সাপ্তাহিক এই সময়-এর সৌজন্যে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা