স্কুলে ঝরে পড়া মেয়ে থেকে দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি
১৫ বছর বয়সে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শ্রমকে কাজে লাগিয়ে এখন তিনিই দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্মান পেলেন!
সুজান কিয়েফেল নামের এই মানুষটিকে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্টের ১৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এই নিয়োগ ঘোষণা দিয়ে বলেন, বিচারপতি কিয়েফেলের জীবনকাহিনী ‘এক অনুপ্রেরণা’।
কিশোর বয়সে অর্থের জন্য স্কুল ছাড়লেও সবসময়ই এজন্য আফসোস করতেন সুজান। কিন্তু কোনো উপায় ছিল না তার। তাই স্কুল থেকে বেরিয়ে আসার কিছুদিনের মধ্যেই ব্রিসবেন ল’ ফার্মে রিসেপশনিস্টের চাকরি জুটিয়ে নেন তিনি। এরপর সুযোগ বুঝে কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়াশোনা করে হাই স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দেন।
পরীক্ষা পাসের পর সুজান একটি প্রতিষ্ঠানে আইন বিষয়ক কেরানি হিসেবে যোগ দেন। একই সঙ্গে রাতের ক্লাসে আইন বিষয়ে ডিগ্রি নেয়ার জন্য লেখাপড়া চালাতে থাকেন।
কুইন্সল্যান্ডের অধিবাসী সুজান কিয়েফেল ১৯৭৫ সালে বার-এ আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে শুধুই এগিয়ে চলা। আর সেই সফল, উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ সুজান পেলেন প্রধান বিচারপতির সম্মান।
শুধু প্রধান বিচারপতি নয়, কঠোর অতীত জীবন পার করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুজানের নিয়োগ পাওয়াকে দেশ এবং এর আইন ব্যবস্থার জন্য ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ল’ কাউন্সিল। প্রধান বিচারপতি হওয়ার আগে থেকেই আইন পেশায় আসা নারীদের জন্য সুজান পথপ্রদর্শক ছিলেন বলে মন্তব্য করেন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট স্টুয়ার্ট ক্লার্ক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন