গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ধর্ষণের পর স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ধর্ষক শামসুজ্জামান (২০) নামের এক যুবক। সে কাপাসিয়ার চেংনা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগীকে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানায়, ‘গত ১৬ অক্টোবর রাতে বাড়ির পাশে পালাগানের আসর বসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমি বাবার চা স্টলে বসেছিলাম। এসময় অভিযুক্ত শামসুজ্জামানের বাড়িতে কোনও লোকজন না থাকায় ডিম ভেজে দেওয়ার জন্য আমাকে যেতে বলে। এ সময় জোর করে সে আমাকে ধর্ষণ করে।’

সে আরও বলেন, ‘ঘটনার রাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে ফিরে ঘটনাটি মা- বাবাকে জানায়। অসুস্থ অবস্থায় সোমবার আমাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক আমাকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ‘কাপাসিয়া হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছি শুনেই ধর্ষক ও তার বাবা আমার বাড়ির উঠোনে গিয়ে কয়েকবার হুমকি দিয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলেও গালিগালাজ করেছে। কোনও মামলা বা আইনের প্রক্রিয়া নিলে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার পরামর্শে জেলা লিগ্যাল এইডের শরণাপন্ন হচ্ছি।’

গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট তাছলিমা আক্তার লিপি জানান, ‘ছাত্রীটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’