স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে স্বামীর ১০ কিলো, এবার বাঁশে ঝুলিয়ে আরেক নারীর লাশ বহন!
ভাড়া নেই, তাই হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন স্বামী। বাকি ৫০ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দেয়ার সময় পাশে ১২ বছর বয়সী মেয়ে আর কাঁধে স্ত্রীর চাদর মোড়া মৃতদেহ নিয়ে হেঁটেই গ্রামে ফিরছিলেন দানা মাঝি। ভাগ্যক্রমে এক সাংবাদিকের সহায়তায় বাকি পথ গাড়িতে চেপে যাওয়ার সুযোগ হয় তার।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরে প্রায় একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ৭৬ বছর বয়সী সালামণি বারিক নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয় ট্রেনের ধাক্কায়।
তার দেহ উদ্ধার করে বালেশ্বরের সোরোতে একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে দেহ ফেলে রাখা হয়।
ময়নাতদন্তের কোনো ব্যবস্থাই সোরোতে ছিল না। ময়নাতদন্ত করার জন্য দেহ ৩০ কিমি দূরে শহরে নিয়ে যেতে হবে। দেহ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন।
কীভাবে অত দূরে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে? রেলপুলিশ ট্রেনে করে সালামণির দেহ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু এতে তৈরি হয় সমস্যা। ট্রেনে করে নিয়ে যেতে গেলে স্টেশন পর্যন্ত দেহ নিয়ে যেতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স খুঁজেও পাওয়া যায়নি বালেশ্বরের সোরোতে।
অটোতে দেহ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বিশাল ভাড়া হাঁকিয়ে বসেন চালক। অত টাকা খরচ করবে কে? তাই শেষ পর্যন্ত পুলিশ দু’জন সাফাইকর্মীকে বলেন, যেকোনো উপায়ে দেহটি স্টেশনে পৌঁছে দিতে।
কিন্তু ততক্ষণে সালামণির দেহ ইটের মতো শক্ত হয়ে গেছে। ২ কিমি রাস্তা পায়ে হেঁটে ওই দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হলো ঠিকই, কিন্তু এর জন্য যে উপায় বের করলেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা তা সত্যিই ভয়ানক।
সালামণির দেহের ওপর দাঁড়িয়ে চাপ দিয়ে তার কোমর ভেঙে দেয়া হলো! তার পরে দেহ মুচড়ে একটা প্লাস্টিকে মুড়ে বাঁশে বেঁধে রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়!
বৃদ্ধার ছেলের অভিযোগ, মায়ের দেহ দুমড়ে মুচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি কিছু করতে পারিনি। অসহায়ের মতো গোটা ঘটনাটা দেখতে হয়েছিল। এ অন্যায়ের বিচার চাই কর্তৃপক্ষের কাছে।
সালামণির দেহ কেন এভাবে নিয়ে যাওয়া হলো তা নিয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়েছে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন।
দু’দিন আগে উড়িষ্যার কালাহান্ডির দানা মাঝির স্ত্রী অমং দেই (৪২) যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে উড়িষ্যার কালাহান্ডি হাসপাতালে মারা যান। মাঝি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম যে, আমি গরিব মানুষ এবং গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য নেই। অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তারা কোনো সহায়তা করেনি।
স্ত্রীর মরদেহ কাপড়ে মোড়ানোর পর কাঁধে করে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে হেঁটে রওনা দেন তিনি। এবার সালামণির দেহ ভেঙে চুড়ে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে নেয়া হলো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন