স্বর্ণের চেয়েও দামি এ কাঠ, কিন্তু কেন?
কাঠ যে স্বর্ণের চেয়ে দামি হতে পারে, এ বিষয়টি অনেকেরই জানা নেই। কিন্তু তেমনই এক কাঠের নাম আগর। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিবিসি।
হংকং অতীতে বিশ্বের সুগন্ধী ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্রস্থল ছিল। আর সেখানেই এ সুগন্ধী কাঠের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল। এখনও হংকংয়ের সেই সুগন্ধীর বাজার রয়েছে। সেখানে যে দোকানগুলোতে এ সুগন্ধী কাঠ বিক্রি হয় তার অন্যতম হলো উইং লিং জোস স্টিক অ্যান্ড স্যান্ডালউড কোম্পানি। এটি তাদের পারিবারিক ব্যবসা।
সে দোকানের অভ্যন্তরে সারি সারি সাজানো রয়েছে মূল্যবান এ কাঠটি। তবে কাঠগুলো খোলা রাখা নেই। সবই কাচের ওপাশে রাখা। কারণ এ সুগন্ধী কাঠগুলোর মূল্য স্বর্ণের চেয়েও বেশি।
বহু যুগ আগে থেকেই এ বাজার থেকে বিশ্বের নানা দেশের সুগন্ধী প্রস্তুতকারকরা কাচামাল সংগ্রহ করে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের একটি বড় বাজার রয়েছে।
গত ৭০ বছর ধরে এ বাজারে দোকান চালাচ্ছেন ৮৪ বছর বয়সী উয়েন ওয়াহ। বর্তমানে তার ছেলে চীনের মূল ভূখণ্ডে অন্য একটি শাখা খুলেছে।
উয়েন ওয়াহ বলেন, তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সেই এখানে কাজ শুরু করেন। আগর কাঠটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পেইনকিলার হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া সুগন্ধী হিসেবে ব্যবহার তো রয়েছেই।
আগর বা অ্যাকুইলারিয়া গাছ থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করতে হয় বিক্রির উপযোগী কাঠ। এজন্য গাছটিতে ফুটো করে একটু দূরে দূরে পেরেক মারতে হয়। এতে সেখানে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে সুগন্ধ তৈরি হয়। এরপর তা কেটে বিক্রি করা হয়।
বাংলাদেশে মাঝারি আকৃতির এক-একটি আগর গাছ ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয় বলে জানা যায়। তবে হংকংয়ের বাজারে ভালো জাতের এ কাঠ প্রতি কেজি স্বর্ণের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়। সেখানে কোনো কোনো প্রজাতির মূল্য প্রতি কেজি তিন লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
এ গাছের নির্যাস থেকে তৈরি হয় মূল্যবান প্রসাধনী সামগ্রী। এছাড়া আগরবাতি ও আতরও তৈরি করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন