স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও ভাতা পায়নি শরীয়তপুরের রতন মুন্সি
স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায়নি শরীয়তপুরের রতন মুন্সি। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জাতিকে রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।
ভারতের আগরতলা বাগমারা ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার শিবচরে পশ্চিমাপাকসেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে হানাদারমুক্ত করেন। ঢাকা স্ট্রোডিয়াম ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দিয়ে পরে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই তালিকাও নাম রয়েছে তার আবেদনও করেছেন তিনি। কিন্তু শেষ্ঠ সন্তান হিসেবে মুক্তি ভাতার তালিকায় নাম না উঠায় দুঃখ প্রকাশ করেন শরীয়তপুর সদরের পশ্চিম কাশাভোগ গ্রামের মৃত মোনতাজ উদ্দিন মুন্সির ছেলে রতন মুন্সি। শেষ্ঠ সন্তান হিসেবে জীবনের শেষ ইচ্ছে পূরণ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি। স্ত্রীকে হাড়িয়ে দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
রতন মুন্সির সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া, আঃ মান্নান বয়াতি, মোঃ তৈয়ব আলী ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের শিবচর উপজেলা কমান্ডার এবং দত্তপাড়া ইউনিয়নের কমান্ডার মোকলেচুর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রতন মুন্সিকে প্রত্যয়নপত্র দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত গেজেটে নাম উঠানোর জন্য দাবী জানান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন তৎকালীন ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহাকমা শিবচর থানার উত্তরচর তাজপুর গ্রামের মৃত মোনতাজ উদ্দিন মুন্সির ছেলে রতন মুন্সির গ্রামের বাড়ি। ভারতের আগরতলা বাগমারা ক্যাম্পে কর্নেল এস এস থাবার নের্তৃত্বে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে এসে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার মাদারীপুরের শিবচরের মেজর খসরুর নের্তৃত্বে পশ্চিমাপাকসেনাদের বিরুদ্ধে শিবচরের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে হানাদারমুক্ত করেন। পরে ঢাকা স্ট্রোডিয়াম ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দেন এবং মাদারীপুরের যাচাই বাছাই তালিকায়ও ৪৬১ নং নাম রয়েছে তার।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৯ তারিখে ঢাকার পিলখানা থেকে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে ২০০৯ সালের জুলাই মাসে পুলিশ বাহিনী থেকে অবসর নেন রতন। চাকরি জীবনে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটের তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত না করতে পাড়ার কারনে ২০১৪ সালের মে মাসের ২৭ তারিখে অনলাইনে মুক্তিযোদ্ধা নিবন্ধণ ফরমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন তিনি।
এলাকার মুক্তিযোদ্ধা রতন হিসেবে পরিচিত। কিন্তু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত গেজেটে নাম উঠেনি এমননি অভিযোগ রতন মুন্সির। মুক্তিযোদ্ধা গেজেটের তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি। বর্তমানে শরীয়তপুর সদরের পশ্চিম কাশাভোগ গ্রামে মৃত্যুর সঙ্গেপাঞ্জা লড়ছে।
রতন মুন্সির বলেন, চাকরি জীবনে সময়মতো আবেদন করতে না পারায় আমার নাম গেজেটে উঠেনি। এখন আমার জীবনে চাওয়ার মতো কিছুই না। সরকারের প্রতি চাওয়ার আছে শেষ্ঠ সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি চাই। তাহলেও মরে গেলেও শান্তি পাবো। আর আমাকে দেখার মতো কেই নাই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সববিস্তারিত পড়ুন
স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার চাচাতো ভাইয়েরবিস্তারিত পড়ুন