শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

স্বামীকে ধড়-মুণ্ড আলাদা করে থানায় স্ত্রী

‘স্যার, কোদাল দিয়ে কুপিয়ে বরের ধড়-মুণ্ড আলাদা করেছি। আমাকে ধরুন।’ ছাপা শাড়িতে মধ্যবয়সী নারীটি হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকেই ডিউটি অফিসারকে বললেন এ কথা।

অফিসার শুনে থ! মাথাটাথা খারাপ নয় তো? কী করবেন তখনও বুঝে উঠতে পারছেন না অফিসার।

জানতে চাইলেন, ‘সত্যি বলছেন?’ ওই নারীর জবাব, ‘মিথ্যে কেন বলব? একবার আমার সঙ্গে চলুন।’

কেন করলেন এমন? এ বার আর উত্তর নেই। শুধু বললেন, ‘সঙ্গে চলুন, সব জানতে পারবেন।’

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের চব্বিশ পরগনায়। কথা না বাড়িয়ে পুলিশ হাজির হয় প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতার বঙ্গনগর গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে।

বাইরে ‌থেকে তালা খুলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঢোকেন তিনি। ঘরে ঢুকেই পুলিশের চোখ কপালে। মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তারই মধ্যে পড়ে আছে এক ব্যক্তির দেহ। ধারাল অস্ত্রের কোপে দেহ থেকে মাথা প্রায় আলাদা!

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে গ্রেফতার করা হয়েছে অনিমা পাল নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই নারীকে। তার স্বামী দিব্যেন্দু পালের (৪০) দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্লাইউডের দোকানে কাজ করতেন দিব্যেন্দু। প্রতিমাও গড়তেন। বছর তেরো আগে পাশের বাড়ির অনিমার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। পাল দম্পতির বারো বছরের ছেলে ও আট বছরের মেয়ে আছে।

জানা গেছে, দিব্যেন্দুর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে অশান্তি ঘনায় সংসারে। মাস আটেক আগে কলকাতায় কাজে গিয়ে এক কিশোরী পরিচারিকার সঙ্গে আলাপ হয় তার। মালদহের ওই মেয়েটিকে ঘরে তোলেন তিনি। যা মেনে নিতে পারেননি অনিমা।

এ নিয়ে গাঁয়ের মাতব্বরদের সামনে ঠিক হয়, এক বাড়িতেই পাশাপাশি দুই ঘরে ঠাঁই পাবে দুই বৌ। তবে হাঁড়ি আলাদা হবে না।

কিন্তু সংসারে শান্তি ফেরেনি। প্রতিবেশীদের থেকে পুলিশ জেনেছে, মাঝে মধ্যেই ঝগড়ার শব্দ আসত বাড়ি থেকে।

অভিযোগ, অনিমা দেবীকে মারধর করতেন দিব্যেন্দু। তবে দ্বিতীয় পক্ষ আসার আগে অনিমাকে ঝগড়াঝাটি করতে দেখেননি কেউ।

শুক্রবার বিকালে অনিমার দুই ছেলেমেয়ে বাড়ি ছিল না। ছিল না দ্বিতীয় পক্ষের ‘স্ত্রী’ও।

অনিমা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামীর উপরে অনেক দিনের রাগ জমে ছিল তার। পরিস্থিতি বুঝে ঘুমন্ত স্বামীর গলায় কোদালের কোপ মারেন। ঘটনাস্থলেই ছটফট করতে করতে মারা যান দিব্যেন্দু।

যে হলুদ ছাপা শাড়ি পরে অনিমা গিয়েছিলেন থানায়, সেই পোশাকে রক্তের ছিটে দেখেননি তদন্তকারী অফিসারেরা। যা থেকে অনুমান, স্বামীকে খুনের পরে ঠাণ্ডা মাথায় পোশাক বদলে ফেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু কোদাল দিয়ে কুপিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন বলে অনিমা দাবি করলেও, সেই কোদালটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। জেরা করা হচ্ছে তাকে। ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ