স্যামিরা ‘তৃতীয় শ্রেণি’র ক্রিকেটার!
ইমরান খানের এক মন্তব্যেই তোলপাড় অন্তর্জালে। আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য নয়। পিএসএল ফাইনালে খেলা বিদেশি ক্রিকেটারদের ‘তৃতীয় শ্রেণি’র ক্রিকেটার ও ‘অজানা-অচেনা’ বলেই বিপাকে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। হালের বড় রাজনীতিক ইমরান পিএসএল ফাইনাল লাহোরে আয়োজনের ঘোর বিরোধী ছিলেন। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দুবাই-শারজায় অন্য ম্যাচ খেলা বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার লাহোরে খেলতে যাননি। যাঁরা গিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-তারকা ড্যারেন স্যামি ছিলেন অন্যতম। স্যামির নেতৃত্বে পিএসএল শিরোপা জয় করে পেশোয়ার জালমি।
ইমরানের মন্তব্যটি মোবাইলে ভিডিও করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, ইমরান তাঁর রাজনৈতিক দলের সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করার সময় বলছেন,
ইমরান তাঁর মন্তব্যে বর্ণবাদী মন্তব্যও করেছেন, ‘আমার মনে হয়, আফ্রিকা বা এখান-ওখান থেকে কিছু ক্রিকেটার ধরে নিয়ে এসে তাদের “বিদেশি” ক্রিকেটার বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
ইমরানের এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এ ধরনের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন তাঁর দলের সমর্থক, এমনকি তাঁর ভক্তরাও। টুইটারে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমি আপনার দারুণ ভক্ত। কিন্তু আপনার মন্তব্যে লাখ লাখ ভক্তের মতো আমিও খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি ভাবছি, এই মন্তব্য করার সময় আপনার মাথা ঠিক ছিল কি না। নাকি আপনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল!’
স্যামি যে দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অনেকে। এমন ক্রিকেটারকে তৃতীয় শ্রেণির বলাটা তো অন্যায়ই। লাহোরের ফাইনাল খেলা বিদেশিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের এনামুল হক বিজয়ও।
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এই তৃতীয় শ্রেণির ক্রিকেটাররাই আমাদের তথাকথিত নিঃস্বার্থ রাজনীতিকদের চেয়ে পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’
পরে অবশ্য নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চেয়েছেন ইমরান। জিয়ো টিভিকে তিনি তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘স্যামি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দিতে পারে, কিন্তু সে বড় ক্রিকেটার নয়। যদি ক্রিস গেইল আসত, যদি কেভিন পিটারসেন আসত, তাহলে আমি বলতাম বড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকারা এসেছে।’
ইমরানের এই বেকায়দা অবস্থার পুরো সুবিধা নিতে চাচ্ছে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লিগ। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সবচেয়ে বড় সমালোচক ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এটি নিয়ে বক্তৃতাও দিয়েছেন, ‘ইমরান খেলোয়াড়দের নিয়ে কী বলেছ, সেটি আমি আবারও উচ্চারণ করতে চাই না। কারণ সেটি খেলোয়াড়দের জন্য অপমানজনক।’ সূত্র: এএফপি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন