হল বদলের খবর নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের!
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী অন্য হল ছেড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এসেছিলেন ৪০ জন ছাত্র। ওই হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে পরিচয়পত্র পেয়েছেন, পরীক্ষাও দিয়েছেন। কিন্তু স্নাতক পরীক্ষার সনদ আনতে গিয়ে তাঁরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ওই ৪০ জন শিক্ষার্থীর হল বদলের খবর তারা জানে না!
২০১৩ সালের শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু হল চালু হয়। এই হলে প্রায় দেড়শ ছাত্র রয়েছে। নতুন ওই হলে আসতে আগ্রহীদের জন্য সার্কুলারও জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তখন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী নিজেদের হল বরাদ্দ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন।
হল প্রশাসনের মাধ্যমেই যথাযথভাবে শিক্ষার্থীরা এই আবেদন করেন। বঙ্গবন্ধু হল প্রশাসন তা গ্রহণও করে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক পরিচয়পত্রও দেওয়া হয়। আবাসিক শিক্ষার্থীদের নামের তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব শিক্ষার্থী প্রায় তিন বছর ধরে হলের মাসিক বেতন দিয়েছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা নতুন হলে আসার সময় পুরান হলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাতিল করে দেওয়া হয় এবং নতুন করে তাঁদের আবার একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর তাঁদের দেওয়া হয়। নতুন রেজিস্ট্রেশন নম্বরের তালিকার একটি অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠানোর কথা।
তিন বছর পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ওই তালিকা তারা এখনো পায়নি। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু হল কর্তৃপক্ষ অন্য দুটি হল থেকে আসা ৪০ জন শিক্ষার্থীকে আবাসিকতা দিলেও তাদের নতুন রেজিস্ট্রেশন নম্বারের তালিকাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠায়নি। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের বঙ্গবন্ধু হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্র স্নাতক পরীক্ষার সনদপত্র তুলতে গেলে এ ত্রুটি ধরা পড়ে।
আগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন সংযুক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে অন্য হল থেকে যেসব শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু হলে আবাসিকতার জন্য আবেদন করেছিল তাদের নামের তালিকা আমাদের কাছে পাঠানো হয়নি।’
বিড়ম্বনার শিকার একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তখন হল প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে এমনটি হয়েছে। অথচ আমাদের হলের আবাসিক পরিচয়পত্র প্রদানসহ সব কাজ বঙ্গবন্ধু হলের নামে করা হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের তত্ত্বাবধায়ক মো. আমির বলেন, ‘২০১৩ সালে যারা অন্য হল থেকে এ হলে নতুনভাবে আবাসিকতার জন্য আবেদন করেছে তাদের এ সমস্যা হয়েছে। প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী এ সমস্যায় পড়েছে।’
২০১৩ সালের বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব। তিনি বলেন, ‘আমি শেষের দিকে যখন দায়িত্ব থেকে চলে আসি তখন এ নামের তালিকা পাঠানোর কথা ছিল।’
তবে হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র নন্দী তৎকালীন হল প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, ‘এ সমস্যা বর্তমান প্রশাসনের সময়ের নয়। নিয়মিত কাজ করার ফলে ওই সমস্যা আর খেয়াল করা হয়নি। তবে বিষয়টি সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন