হাসপাতালে নার্সের ঘুষিতে ভাঙল রোগীর দাঁত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সের ঘুষিতে আহসান উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির দাঁত ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহসান উল্লাহ ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর ছেলে।
আহসান জানান, তার বাবা আসকর আলী (৮০) গত ১৪ জুলাই পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ২১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় আহসান ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত জ্যেষ্ঠ নার্স কামালকে বিষয়টি জানান এবং তার বাবাকে অক্সিজেন দিতে অনুরোধ করেন। কামাল তা দিতে আপত্তি জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কামাল ক্ষিপ্ত হয়ে আহসানকে ঘুষি মারলে তার একটি দাঁত ভেঙে পড়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। তবে কামাল দাবি করেন, ঘুষি মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
রোগী বাগিয়ে নেয়া : হাসপাতালের রোগীরা জানান, জরুরি বিভাগের অসাধু ডাক্তারদের যোগসাজশে প্রতিনিয়ত হাসপাতাল থেকে রোগীদের কৌশলে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ডাক্তারদের সহযোগিতায় একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ ওয়ার্ডবয়, নার্স ও আয়া এ চক্রে জড়িত। তারা রোগী বাগিয়ে নেয়ার ঘটনা কর্তৃপক্ষ জানলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। গত সপ্তাহেও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তানিয়া নামের এক রোগীকে ফুঁসলিয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করান এক কর্মচারী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী গেলেই তার আর্থিক অবস্থা বুঝে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা বলেন ‘বেড নেই, সিট নেই। এই রোগীকে এখনই আইসিইউতে রাখতে হবে। আমাদের আইসিইউ খালি নেই। তখন ডাক্তারের উপযাচক হয়েই আশপাশে থাকা দালালদের দেখিয়ে দেন।
দালালরা নিয়ে যান প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। সেখান থেকে মোটা অংকের কমিশন পান জরুরি বিভাগের এসব ডাক্তার। একজন রোগী প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে যতদিন থাকবেন ততদিন ২ হাজার টাকা করে পাবেন জরুরি বিভাগের ডাক্তার ও তার দালালরা।
ডামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান বলেন, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির সঙ্গে রূঢ় আচরণের বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা একটি কমিটি করব। আমি ওই ডাক্তারকে বলেছি, মানুষ সেবার জন্য আমাদের কাছে আসে। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) খাজা আবদুল গফুর বলেন, ডা. মীমের বিরুদ্ধে এখনও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিয়াজ মোর্শেদ জানান, ডা. মীমকে প্রত্যাহার বা তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার খবর তার জানা নেই। কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে তা অবশ্যই তিনি জানতেন। তিনি বলেন, তবে এ ব্যাপারে আজ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা রয়েছে। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন