হিজবুত তওহিদ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ পুলিশ ঢাকায়
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় হিজবুত তওহিদের নেতা-কর্মী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ এক পুলিশ কনস্টেবলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নোয়াখালী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।
ওই কনস্টেবলের নাম আব্দুর রহিম (২৪)। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাঁর তলপেটে গুলি লেগেছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল তাঁকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন।
ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই জুলহাস উদ্দিন বিষয়টি জানেন বলে জানিয়েছেন।গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীর হাট নতুন বাজার এবং পাশের পোরকরা গ্রামে হিজবুত তওহিদ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। হামলায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নোয়াখালী ও সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রায় দিনভর সংঘর্ষের সময় গ্রামবাসীর ঘেরাওয়ের কবলে পড়া হিজবুত তওহিদের ১০৭ জন নেতা-কর্মীকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান। হিজবুত তওহিদের নেতা-কর্মীদের উদ্ধারের খবরে আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। রাত পৌনে ১০টার দিকে কয়েক শ গ্রামবাসী সোনাইমুড়ী থানা ঘেরাও করে। একপর্যায়ে তারা থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুরে সংঘর্ষের সময় এলাকার সাতটি বসতঘর এবং হিজবুতের কর্মীদের অন্তত ২০টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
>>>> নোয়াখালীতে স্থানীয়দের সঙ্গে হিযবুত তাওহীদের সংঘর্ষ: নিহত ২ <<<<
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামী ২৯ জুলাই থেকে চালুবিস্তারিত পড়ুন
রায়পুরায় বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, ঘরের ছেলে ঘরেবিস্তারিত পড়ুন