পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যে মহিলাদের উপর কী ধরনের অত্যাচার চলে, প্রাণনাশের হুমকি সামনে রেখে তা-ই তুলে ধরেছেন নাদিয়া আলি। যৌনতার প্রশ্নে এই সব জায়গায় মহিলারা কোথায় দাঁড়িয়ে, তা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে রীতিমতো চাঁচাছোলা উত্তর দিয়েছেন নাদিয়া।

‘‘দ্য ডেইলি বিস্ট’’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাদিয়া বলেছেন, ‘‘বড় হওয়ার সময়ে আমি শুনেছি, ‘ওর স্কার্ফ দেখে বিশ্বাস কোরো না। ও একটা নষ্ট মেয়ে। আমি ওই দৃশ্যগুলো কখনও ভুলব না। হিজাব পরে আমি অভিনয় করি কারণ আমার দর্শকরা সেটাই চান। ক্যামেরায় আমি হিজাবের মধ্যে প্রাণ ঢালি। কিন্তু আমি এমন একটি জায়গা এবং সংস্কৃতি থেকে এসেছি, যেখানে এই সব একেবারে অচ্ছুৎ, ট্যাবু।’’

এর পরেই তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ইচ্ছে করলেই স্যালি বা ওই ধরনের কোনও একটি নাম নিয়ে পর্ন করতে পারতাম। অন্য পোশাকে, অন্যভাবে পর্দায় আসতে পারতাম। কিন্তু আমি পাকিস্তানি পরিচয় পর্দায় বয়ে বেড়াই কারণ আমি নারী-স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইটা চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি কিন্তু আমার ধর্মকে কখনওই পর্নের মধ্যে আনিনি। আমি আমার পরিচালকদের বলেছি, ‘মুসলিম’ শব্দটি যেন কোথাও না রাখা হয়। আমার কাছে এটা পাকিস্তানের সংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই, ইসলামের বিরুদ্ধে নয়।’’

অতঃপর বিস্ফোরণ— ‘‘পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের মহিলাদের দেখাতে চাই যে, পুরুষরা ধর্ষণ এবং হস্তমৈথুন করে। নারীশরীরের উপর এই সব চালায় তাদের মর্জিমতো। সেটাই আমি ওদের জানিয়ে দিতে চাই।’’

নাদিয়ার প্রশ্ন, পুরুষরা যদি নিজেদের ইচ্ছেমতো যৌনতা এবং যৌনসঙ্গী বেছে নিতে পারেন, তাহলে মহিলারা কেন পারবেন না?

নাদিয়ার কথায়, ‘‘মধ্যপ্রাচ্যে মহিলাদের গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না। আমার দেশে একটি মেয়েকে সম্প্রতি নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারণ জানেন? সে একটি মেয়েকে বিয়ে থেকে পালাতে সাহায্য করেছিল। পড়াশোনা করা বা নারীশিক্ষার প্রচারের জন্য অনেক মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এর পরেও কি প্রতিবাদ করব না?’’