চারদিকে অসহ্য হয়ে উঠছে। তখন মানবিকতাকে নতুন করে অক্সিজেন জোগালেন মহম্মদ শাহনওয়াজ জাহির। প্রয়াত বন্ধু প্রবীণ দয়ালকে মৃত্যুশয্যায় দেওয়া কথা রাখলেন তিনি। তার দুই যমজ সন্তান আয়ুষ ও প্রার্থনাকে দত্তক নিলেন বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট।

বন্ধুর কথা রাখতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে জাহিরকে। কারণ একটাই তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের এবং বন্ধু প্রবীণ হিন্দু। এই জন্যই আপত্তি তুলেছিলেন প্রবীণের আত্মীয়রা। প্রবীণের যাবতীয় সম্পত্তির দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এর বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টে হিন্দু মাইনোরিটি অ্যান্ড গার্ডিয়ানশিপ অ্যাক্টে মামলা করেন জাহির।

২০১২ সালে মৃত্যু হয় প্রবীণ ও তার স্ত্রীর। তারপর থেকে দয়াল পরিবারের বিশস্ত এক ড্রাইভারের কাছে ছিল প্রবীণের দুই সন্তান। আর জাহির জোগাড় করে বেড়াচ্ছিলেন নিজের স্বপক্ষে যুক্তি। এর জন্য দয়ালের ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নেন তিনি। কথা বলেন দুই শিশুর লন্ডনে অবস্থিত মামাবাড়িতেও।

আয়ুষ ও প্রার্থনার দায়িত্ব নিতে অপারগ, জানিয়ে দেন তারাও। এরপরই হাইকোর্ট জাহিরের পক্ষে রায় দেয়। এর জন্য জাহিরকে এক কোটি টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে রাখতে হয়েছে। আর প্রবীণের সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করা হয়েছে।

আয়ুষ ও প্রার্থনার দায়িত্ব পেয়ে বেজায় খুশি জাহির ও তার পরিবার। এবার তার পরিবার সম্পূর্ণ হলো। বাচ্চাদের পাসপোর্টটা এবার হয়ে যাবে। সবাই মিলে বিদেশে ঘুরতে যেতে পারবেন, জানালেন জাহির। বাচ্চারা হিন্দু রীতিনীতি মেনেই বড় হোক, তাই চান তিনি।