হিন্দু মহিলা হয়ে কিভাবে গরুর মাংস খান, প্রশ্নে তোলপাড় নেটদুনিয়া
সাম্প্রতিক সময়ে বোধ হয় গো-মাংস খাওয়া নিয়ে ভারতে কম আলোচনা হচ্ছে না৷ গোমাংস খাওয়া নিয়ে একটি পোস্ট সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ যেখানে এক মহিলা কর্মীকে তার খাওয়ার রুচি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে৷ প্রশ্ন তুলেছেন তার সহকর্মীই৷
অরুণিমা ভট্টাচার্য নামে ওই মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে তার চ্যাটের বেশ কিছু অংশ তুলে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাতেই ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়৷ চ্যাটে ওই মহিলাকে বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে৷ যে সহকর্মী তাকে এই প্রশ্ন করেছেন, তার পরিচয় অবশ্য তিনি জানাননি৷ কিন্তু তার সাফ প্রশ্ন, একজন হিন্দু মহিলা হয়ে কীভাবে কেউ গোমাংস খেতে পারেন বা গোমাংসকে সমর্থন করতে পারেন? তার আরও প্রশ্ন বাংলায় কি সকলেই গোমাংস খান?
কিন্তু গোমাংস না খাওয়া নিয়ে কী যুক্তি ওই সহকর্মীর? তিনি জানাচ্ছেন, তিনি আরএসএসের সমর্থক নন৷ কিন্তু গরুকে তিনি মাতা হিসেবে দেখতেই অভ্যস্ত৷ সেখানে তারই এক সহকর্মী কী করে গরুর মাংস খেতে পারেন, ভেবে তিনি বিস্মিত৷ এরপরই অরুণিমা জানান, খাওয়ার সঙ্গে তার ধর্মীয় বিশ্বারের কোনও সম্পর্ক নেই৷ তখন পাল্টা প্রশ্ন ধেয়ে আসে, তার মা-বাবাও কি গোমাংস খান৷
উত্তরে অরুণিমা জানান, না৷ বাড়িতেও গোমাংস খাওয়ার চল নেই৷ কিন্তু বাড়ির বাইরে নিজের ইচ্ছামতো খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনও আপত্তিও নেই৷ তাতেও নাছোড়বান্দা ছিলেন ওই সহকর্মী৷ কোনও যুক্তি না থাকলেও তিনি বারবার বলতে থাকেন, একজন হিন্দু মহিলা হিসেবে গোরুর মাংস খাওয়া কিছুতেই উচিত নয়৷ অরুণিমা যেন তা থেকে বিরত থাকেন৷
এক সর্বভারতীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অরুণিমা এই চ্যাটের স্ন্যাপশট তুলে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তা থেকে ছড়ায় পাল্টা বিতর্ক৷ অনেকেই প্রশ্ন তুলতে থাকেন, তথাকথিত উদার-শিক্ষিত মনোভাবের নাগরিকরাও কীভাবে খাবারের সঙ্গে ধর্মবিশ্বাসকে মিলিয়ে চলেছেন? তবে কি ধর্মীয় গোঁড়ামিই চেপে বসছে শিক্ষিত মানসিকতাতেও? যদিও এর কোনও উত্তর নেই৷ তবু সোশ্যাল মিডিয়া আপাতত তোলপাড় এই প্রশ্নেই৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন