সুপ্রিয় চাকমা শুভ,রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি :

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন সাপছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বৌদ্ধ তীর্থ স্থান “ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রে আজ ১০ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত। ১৯৯২ সালে শ্রাবক বুদ্ধ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অনুকরনে এই বৌদ্ধ তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি মহাসড়ক হতে সাড়ে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে এই তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয়। আন্তর্জাতিক এই বনধ্যান কেন্দ্রে শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবিন বনভান্তের অন্যতম শিষ্য শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির অধ্যক্ষ হিসেবে অধিষ্ঠান করেন।

এবং ২০০৭ সাল থেকে এই আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান যাত্রা শুরু করা হয়।

১০ তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে চিপন চাকমা ও নেন্সি চাকমার উপনাপনায় ধর্মীয় ভাব মর্যাদায় মুখরিত হয় ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান ভাবনা কেন্দ্র। অনুষ্ঠানটি দু’টি ধাপে সম্পন্ন করা হয়। সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনায় বুদ্ধমুর্তি দান,সংঘদান,অষ্টপরিস্কার দান, হাজার প্রদীপ দান ও পিন্ডুদান উদযাপন করা হয়। এবং বিকাল ২ ঘটিকার সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায় অনুষ্ঠানে কঠিন চীবর দান, অষ্টপরিস্কার দান, কল্পতরু দান সহ নানা বিধ দান সম্পন্ন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্বশান্তির মঙ্গল কামনায় এবং সকল প্রানীর হিতসুখ কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন চিনু চাকমা। বিশেষ ধর্মীয় বক্তব্য প্রদান করেন ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারন সম্পাদক আশুতোষ চাকমা।

অনুষ্ঠানে দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্য স্বধর্ম দেশনা প্রদান করেন “ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির ভিক্ষু এবং রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির ভিক্ষু।

এছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসা পূর্নার্থী বনরুপা কাটাপাহাড় নিবাসী রিপেন চাকমা বলেন, বাংলাদেশের মধ্য এই তীর্থস্থান আন্তর্জাতিক ভাবে সম্মৃদ্ধ। সাড়ে ৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে বন্ধুদের সাথে ধর্মীয় ভাব বিনিময় করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করি। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে অনেক সুখী বোধ করছি। আমি এবং আমার বন্ধুরা জগতের সকল প্রাণীর হিতসুখ কামনা করছি।