১০ নারীর অদ্ভুত নেশা!
প্রায় মানুষেরই নানান ধরনের নেশা থাকে। তবে কারও রয়েছে ভালো নেশা আবার অনেকের রয়েছে বাজে নেশা। বই পড়া একটি নেশা আবার ধুমপানও একটি নেশা। তবে আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ১০ নারীর অদ্ভুত সব নেশা। চলুন তাহলে জেনে নিই সেই অদ্ভুত নেশার কথা।
স্বামীর মৃত্যু দেহের ছাই:
২৬ বছর বয়সে বিধাবা হন কাসি নামের এক মহিলা। হঠাৎ একদিন শরীর খারাপ থেকে মারা যান কাসির স্বামী। নিয়ম মেনে কাসির স্বামী সোয়ানের মৃতদেহ দাহ করা হয়। কাসি দেওয়া হয় তার স্বামীর মরদেহের ছাই। স্বামীর কথা মনে পড়লেই সেই মহিলা ছাইয়ের গন্ধ শুকতো। সেই থেকে স্বামীর মরদেহের ছাই খাওয়া শুরু করে। সেটা নেশায় পরিণত হয় তার। এখন সেই মহিলা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি।
রক্ত খওয়ার নেশা:
নাম জুলিয়া ক্যাপলেস। ৪৫ বছরের এই মহিলা জলের চেয়েও বেশি পান করতে ভালবাসে রক্ত। ঘণ্টায় ঘণ্টায় তার তাজা রক্ত খাওয়া চাই। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পেনসিলভিনিয়ার বাসিন্দা সেই মহিলা রক্ত খেয়ে বেঁচে আছে। সারাদিনে ২লিটার রক্ত না খেলে তার চলে না।
ব্লিচ স্নান:
গ্লোরিয়ার বয়স ২১। সন্তানের মা হবে হবে করছে। সেই সময় সে একদিন ব্লিচ স্নান করে। সেই শুরু তারপর থেকে গ্লোরিয়া শুধু জলে নয় কেমিক্যাল মেশানো ব্লিচ দিয়ে স্নান করে।
শ্মশান বন্ধু:
ব্রাজিলের বাসিন্দা লুইস স্কুয়ারিসি ২২ বছর বয়সে তার বাবাকে হারায়। বাবার মৃতদেহ নিয়ে সে গোরস্থান বা শ্মশানে যায়। তারপর থেকে সে শ্মশানকে এত ভালবেসে যে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বা কারও কাছে মৃত্যুর খবর শুনলেই ছুটে যায় শ্মশান বা গোরস্থানে। মৃতদেহকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ওর চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে সে একদিনের জন্য শ্মশানে যাওয়া ছাড়েনি।
প্রস্রাব পান:
মদ, জুয়া নিজের প্রস্রাব খাওয়াটা ক্যারির নেশা। চার বছর ধরে নিজের প্রস্রাব খান ক্যারি। প্রতিদিন নিয়ম করে নিজের ৮০ আউন্স প্রস্রাব পান করেন ক্যারি। মাঝামাঝে নাকে ইনহেলার মত করে প্রস্রাবও নেন। গত বছর ডিসেম্বরে রবার্ট ওয়েলস নামের এক ব্যক্তি বলেন খুব ছোটবেলা থেকে তিনি লুকিয়ে প্রস্রাব খান।
বেবি পাউডার:
হাউস্টনের ডে নামের ২৮ বছরের এক মহিলা বেবি পাউডার খান। ১৩ বছর বয়স থেকে বেবি পাউডার খেতে তার এত ভাল লেগে যায় যে মাসে অন্তত তিন কৌটো পাউডার সে কেনে শুধু খেতে। সে অন্তত হাফ টন বেবি পাউডার খেয়েছেন।
কাঁচের গ্লাস:
মদ খাওয়াটা তো অনেকের নেশা কিন্তু মদের গ্লাস! হ্যাঁ, জোস নামের এক ব্যক্তির গত পাঁচ বছরের নেশা কাঁচের গ্লাস খাওয়া। বারে গিয়ে সবাই যখন মদ খায়, তখন জোস কাঁচ ভেঙে খায় গ্লাস। একবার বই খেয়ে নেওয়ার পর ওর মাথায় উদ্ভট নেশা আসে, কাঁচের কোনও পাত্র খাওয়ার। জোস বলেন কাঁচের গ্লাস বিশেষ করে শ্যাম্পেন রাখার আর লাইট ব্লাব খেতে ওর দারুণ লাগে। এই নেশা করার পর থেকে ও অন্তত আড়াইশোটা লাইট ব্লাব আর শতাধিক গ্লাস ভেঙে খেয়ে ফেলেছে।
নেলপলিশ খাওয়া:
গোটা বিশ্বের মানুষ যখন স্টাইলের জন্য নেলপলিশ আঙুলে লাগায় তখন ২৩ বছরের বার্থা নামের এক মহিলা সেই নেলপলিশ খাওয়ার নেশা করেন। বিভিন্ন রঙের নেলপলিশ খাওয়াটা বার্থার প্রায় রোজের নেশা। বার্থা এমনও বলেছেন গ্লিটার আর নীল রঙের নেলপলিশ খেতে ওর সবচেয়ে ভাললাগে। নেলপলিশের নেশাটা ওর এতটাই তীব্র যে কেউ গিফট করলে সেটা না পরে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলে। ৫ বছর বয়স থেকে ও নেলপলিশ খাচ্ছে। আজ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ গ্যালন নেলপলিশ সে খেয়েছে।
টয়লেট পেপার:
২৫ বছরের জাডে সেলভেস্টার গত বছর খবরের শিরোনামে আসে অদ্ভুত এক কারণে। জাডে টয়লেট পেপার না খেয়ে থাকতে পারে না। পাঁচ সন্তানের মা এই মহিলা তার সবচেয়ে ছোট সন্তানের দু মাসের গর্ভাবস্থায় প্রথমবার টয়লেট পেপার খাওয়ার নেশা করেন। সারাদিনে টয়লেট পেপারের একটা গোটা রোল শেষ হয়ে যায় তার। ডাক্তাররা এই নেশাকে মানসিক সমস্যা হিসেবে বলেছেন।
সোফার গদি:
অ্যাডিলে নামের ফ্লোরিডার এক মহিলা গোটা বিশ্বের নজরে আসে এক অদ্ভুত নেশার জন্য। অ্যাডিলে সোফার কভার খুলে সেখান থেকে গদি, ছোপরা বের করে খেয়ে নেয়। ১০ বছর বয়স থেকে ওর এই নেশা শুরু হয়েছে। এখন ওর বয়স ৩০ বছর। সোফা দেখলেই ওর জিভ থেকে জল পরে।
– See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/69475/index.html#sthash.97HzgVpP.dpuf – See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/69475/index.html#sthash.97HzgVpP.dpuf
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন