১০ মাস বয়সী শিশুকে লাথি, আছাড় মারলেন কেয়ারটেকার (ভিডিও)
এবার সিসিটিভি ক্যামেরায় ১০ মাস বয়সীকে শিশুকে নির্মমভাবে নির্যাতনের চিত্র ধরা পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের নাবি মুম্বাইয়ের খারগড় এলাকায়।
শিশু নির্যাতনের ভিডিওটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, নাবি মুম্বাইয়ের খারগড়ের একটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের কেয়ারটেকার একটি শিশুকে আছড়ে ফেলে দিচ্ছেন, থাপ্পড় দিচ্ছেন ও লাথি মারছেন।
এদিকে, এ ঘটনার পর খারগড় পুলিশ গতকাল কেয়ারটেকার আফসানা শেখ এবং কেন্দ্রের মালিক প্রিয়াঙ্কা নিকামকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে। পরে নিকাম জামিনে মুক্তি পেলেও কেয়ারটেকার আফসানা শেখকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
নাবি মুম্বাইয়ে খারগড়ের পূর্ব প্লে স্কুল ও দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজটি ছড়িয়ে পড়ার পর এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
দশ মাস বয়সী ওই শিশুর বাবা-মা রুচিতা ও রজত সিনহা এ ঘটনায় মামলা করেছেন। তাঁরা দুজনেই দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুকে রেখে চাকরিতে যেতেন।
মঙ্গলবার ওই দম্পতি যখন তাঁদের শিশুকে নিতে যান, তখন মেয়ের কপালে একটি ক্ষত দেখতে পান। রুচিতা প্রতিষ্ঠানের মালিক নিকামের কাছে এর কারণ জানতে চান, কিন্তু তিনি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এরপর ওই দম্পতি তাঁদের শিশুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার জানান, শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর ওই দম্পতি খারগড় পুলিশ স্টেশনে গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখার পর পুলিশ এবং ওই শিশুর বাবা-মা বিস্মিত হয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ কেয়ারটেকার ও মালিকের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনে অভিযোগ গঠন করেছে। ওই শিশুটিকে বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের নারী এবং শিশু উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী পঙ্কজ মুন্ডে ঘটনাটিকে নির্মম আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে জন্য প্লে স্কুলগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
https://youtu.be/eDKxjhDKUgs
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন