রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

১১ ‘স্বামীকে অভিনব কৌশলে প্রতারিত করে সুন্দরীর শেষ পরিণতি একি হলো…

একটা, দু’টো নয়, একেবারে ১১ জনকে বিয়ে করে তাঁদের টাকাপয়সা, গয়না হাতিয়ে পালাত ২৩ বছরের সুদর্শনা মেঘা। বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর এই ‘সুন্দরী পাখি’ ধরতে জাল পাতে পুলিশ। কিন্তু তিনি এতটাই ধুরন্দর যে দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে মেঘার কাছে।

সোনম কপূরের অভিনীত ‘ডলি কি ডোলি’ ছবিটা মনে আছে তো? ঠিক সে রকমই ফিল্মি কায়দায় অসহায় পুরুষদের শিকার বানানোর জন্য ফাঁদ পাতত মেঘা।

নয়ডার বাসিন্দা মেঘনা ভার্গব। থাকে দিদি আর জামাইবাবুর সঙ্গে। সেখান থেকে পাড়ি দেয় কেরলে। শিকারের খোঁজে নেমে পড়ে সে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে এই কাজে সাহায্য করত মহেন্দ্র নামে এক যুবক। সে খুঁজে খুঁজে সেই পুরুষের খবর দিত মেঘনাকে যাঁদের বয়স হয়ে গিয়েছে, অথচ বিয়ে হয়নি, ডিভোর্সি পাত্র। আবার যাঁদের গায়ের রং কালো, ভাল পাত্রী পাচ্ছেন না। এমনকী শারীরিক ভাবে অক্ষম পুরুষদের কাছে নিজের রূপের ললনায় মন ভুলিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিত। তবে খেয়াল রাখত এরা সবাই বিত্তবান কিনা! সেই বুঝেই সে দিকে পা বাড়াত মেঘনা।

প্রথমে তাঁদের সঙ্গে আলাপ জমাত, তার পর বিয়ের প্রস্তাব। বিয়ে করার পরই সুযোগ খুঁজত গয়না কী ভাবে হাতানো যায়। ঝোপ বুঝে কোপ, তার পরই পাখি ফুড়ুত্। মেঘনার রূপের জাল বিস্তার ছিল নয়ডা থেকে কেরল পর্যন্ত। এক এক করে ১১ জনকে তাঁর রূপের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা আর গয়না।

এ রকমই কেরলের এক ব্যক্তি লরেন জাস্টিনকে ফাঁদে ফেলে মেঘনা। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে উধাও হয়ে যায় সে। জাস্টিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। কেরলে এ রকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ আগেই পুলিশের কাছে জমা পড়েছিল। কিন্তু নাগালে পাচ্ছিল না অপরাধীকে। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে নয়ডাতেও এ রকম কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে। কেরল পুলিশ নয়ডা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শুরু হয় যৌথ তল্লাশি। তল্লাশি অভিযানে নেমে পুলিশের হাতে মহেন্দ্র নামে এক যুবকের নাম। তাঁর খোঁজ নিয়ে গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। সুযোগ বুঝে তাঁকে ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করা হয়। মেঘনার ডান হাত গ্রেফতার হতেই আসল গল্প বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় মহেন্দ্র তাদের জানায় সে-ই নাকি মেঘনার জন্য বিত্তবান অসহায় পুরুষদের খুঁজে দিত। বিয়ের পর মেঘনা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাঁর ‘স্বামী’দের খাওয়াত। তার পরই সব কিছু হাতিয়ে পগারপার।

এই মহেন্দ্রকেই জেরা করে মেঘনার খোঁজ পায় পুলিশ। তার নয়ডার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে মেঘনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তার দিদি-জামাইবাবুকেও। জেরায় মেঘনা জানিয়েছে, সে চার জনকে বিয়ে করেছে। তবে বাকি বিয়ের কথা অস্বীকার করে। তার দাবি, কাউকে প্রতারিক করেনি সে। বিয়ের পরই ‘স্বামী’দের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তাঁদের ছেড়ে চলে আসেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ