১৮ জেলেসহ ট্রলারডুবি, ৯২ জেলেসহ পাঁচটি ট্রলার নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এফবি সুখতারা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ১৮ জেলেসহ ডুবে গেছে। এ ছাড়া এফবি নুরভানু, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি মা-বাবা, এফবি রথিজিৎ এবং এফবি আছিয়া নামের পাঁচটি ট্রলার ৯২ জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে।
কুয়াকাটা, আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ট্রলার মালিক আনছার মোল্লা জানান, আজ শনিবার সকালে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের তাণ্ডবে মহিপুরের কাদের মাঝির এফবি সুখতারা ট্রলারটি ১৮ জেলেসহ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের কয়েকজন জেলেকে উদ্ধার করেন পাথরঘাটার একটি ট্রলারের জেলেরা। এ ছাড়া আলিপুরের ইউসুফ কম্পানির এফবি নুরভানু ট্রলারটি ১৮ জেলেসহ এবং রতন কম্পানির এফবি মায়ের দোয়া নামের ট্রলারটি ১৪ জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে।
সমুদ্র উত্তাল থাকায় সাগর থেকে সকল মাছ ধরার ট্রলার মহিপুরের শিববাড়িয়া নদসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। মহিপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ফজলু গাজী জানান, মহিপুরের জয়বেদ বাবুর এফবি মা-বাবা নামের ট্রলারটি ২০ জেলে, এফবি রথিজিৎ ট্রলারটি ২০ জেলে এবং আনোয়ার মিয়ার এফবি আছিয়া নামের ট্রলারটি ১৮ জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে, এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় নিম্নচাপের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সমুদ্র ও সকল নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ সব সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নৌবন্দরে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত ও শীতল হাওয়া বহমান থাকায় ঘর থেকে মানুষ বের হতে পারছে না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহণকারী মানুষের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। এদিকে, ভারি বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় কোথাও কোথাও কৃষকের জমির ধানক্ষেতের ধান গাছ মাটির সাথে মিশে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটা পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থার করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার সকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে আরো জানা যায়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপকবিস্তারিত পড়ুন
দুই দফা কমার পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
টানা দুই দফা কমার পর দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দামবিস্তারিত পড়ুন
চট্টগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের বহরের গাড়ি
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়কবিস্তারিত পড়ুন