২০০৫ সালের পর থেকেই এই ১০ নম্বর জার্সি যেন হয়ে আছে লস ব্লাঙ্কোসদের কান্না
বিশ্বজুড়ে ১০ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলারকে বিবেচনা করা হয় দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে। পেলে, ম্যারাডোনা থেকে শুরু করে হালের মেসি, নেইমার; সবাই আলোকিত এই বিখ্যাত সংখ্যার ভারে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদকে কখনো এই নম্বরের জার্সির কথা বলতে যাবেন না যেন! ২০০৫ সালের পর থেকেই এই ১০ নম্বর জার্সি যেন হয়ে আছে লস ব্লাঙ্কোসদের কান্না।
সেই যে ২০০৫ সালে লুইস ফিগো সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়লেন। এরপর থেকে যিনিই এই জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন, হয় ফর্ম হারিয়েছেন নয়তো চোটে জর্জরিত হয়ে ক্লাব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
প্রথমবারের মত রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি হয়েই সান্তিয়াগো পেরেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন ফিগোকে যে করেই হোক ক্লাবে আনবেন। কথা রেখেছিলেন পেরেজ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা থেকে অনেক জলঘোলা করে পর্তুগীজ তারকাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এনেই হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ১০ নম্বর জার্সি।
মান রেখেছেন ফিগো। ২০০০ সালে রিয়ালে খেলতে এসে পাঁচটি জ্বলজ্বলে মৌসুম উপহার দিয়েছেন সাবেক বর্ষসেরা এই ফুটবলার। কিন্তু ২০০৫ সালে ফিগো ইন্টার মিলানে পাড়ি জমানোর পর থেকেই শুরু যত বিপত্তির।
ফিগোর উত্তরসূরি হিসেবে রবিনহোর কাঁধে চাপানো হয় ১০ নম্বর জার্সি বহনের ভার। একটা সময় যাকে বিবেচনা করা হত ভবিষ্যৎ পেলে হিসেবে, সেই রবিনহো রিয়ালে এসে খেলাই ভুলে গেলেন। ১০ নম্বরের অভিশাপ যেন চেপে বসে এই ব্রাজিলিয়ানের কাঁধে, সঙ্গে রিয়ালেরও। একের পর এক মৌসুম শিরোপা খরায় ভুগতে থাকে লস ব্লাঙ্কোস শিবির। তিনটি ম্যাড়মেড়ে মৌসুম কাটিয়ে ২০০৮ সালে ৪২ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানচেস্টার সিটিতে পালিয়ে বাঁচেন রবিনহো।
দুর্দান্ত পাসিং, ড্রিবলিংয়ে মন ভোলানো মেসুত ওজিলকেও পড়তে হয়েছে এই অভিশাপে। ২০১০ সালে প্রথম মৌসুমেই রিয়ালের প্রধান গোল যোগানদাতা হয়ে ওঠেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। কিন্তু পরের মৌসুম থেকেই আস্তে আস্তে নিজের উজ্জ্বলতা হারাতে থাকেন। একটা পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ২০১৩ সালে আর্সেনালে পাড়ি জমান ওজিল।
‘১০নম্বর জার্সি’ অভিশাপের সবশেষ শিকার হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে হামেস রদ্রিগেজকে। ২০১৪ বিশ্বকাপে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে রিয়ালের রাডারে আসেন হামেস। বিশ্বকাপ শেষেই তাকে ৭১ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে মোনাকো থেকে দল ভেড়ান দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া পেরেজ। তবে, দুর্ভাগ্য এই কলম্বিয়ান মিডফিল্ডারের। নিয়মিত একাদশে সুযোগ হয়নি। সদ্য শেষ মৌসুমে মাত্র ২২টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। তাই ত্যক্ত-বিরক্ত হামেসকে ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে ধারে বায়ার্নে বিকিয়ে দিয়েছে রিয়াল।
এই তিন খেলোয়াড়ের মাঝে কেবল ব্যতিক্রম ছিলেন ওয়েসলি স্নাইডার। ২০০৭-০৮ সালে ১০ নম্বর জার্সি পরে প্রথম মৌসুমেই আলো কাড়েন। কিন্তু পরের মৌসুম থেকেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন এই ডাচ মিডফিল্ডার। ২০০৯ সালে ইন্টার মিলানে যোগ দিয়েই আবার ফিরে পান পুরনো ফর্ম। ইতালির ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন ট্রেবল। আর রিয়ালে ফেলে যান অভিশাপ!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন