২০০ লোকের কর্মসংস্থান, কাঠ থেকে আইচক্রিমের কাঠি তৈরী
ক্ষুদ্র একটি কারখানা গড়ে উদ্যোগক্তা মীর শওকত আলী(৪৭) নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন, পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এলাকার শতাধিক বেকার নারী ও পুরুষের। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আইচক্রিমের কাঠি তৈরী কারখানাটি নতুন উদ্যোগক্তাদের স্বপ্ন দেখায়।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দুধসর গ্রামে গড়ে ওঠা আইচক্রিমের কাঠি তৈরী কারখানাকে কেন্দ্র করে কাঠ ব্যবসায়ী, ‘স’ মিল শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক ও কারখানা শ্রমিক সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২’শ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
উদ্যোগক্তা মীর শওকত জানান, ২০০১ সালে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে তিনি ভারতে যান। এক পর্যায়ে বারাসাত ও হুগলিতে কাঠ দিয়ে আইচক্রিমের কাঠি তৈরীর কারখানা তার নজরে আসে।
কাঠ থেকে কাঠি তৈরীর কাজটি বেশ ভালো লাগে তার। কারখানার মালিকের সাথে আলাপ করে জানতে পারেন ব্যবসাটি যথেষ্ঠ লাভজনক। ভারত থেকে ফিরে এসে ২০০৩ সালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নিজ বাড়িতে তিনি গড়ে তোলেন মীর ট্রেডিং নামের কাঠি বানানোর কারখানা।
সে সময় ৩টি কাটিং ও ১ ফিলিং মেশিন নিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে কারখানায় ৮ টি কাটিং ২টি ফিলিং মেশিনে কাজ হয়। নির্দিষ্ট মাপের কাঠের খন্ড প্রথমে ফিলিং মেশিনে দিয়ে পাতলা কাঠের পাতে পরিনত করা হয়। পরে এই পাত, কাটিং মেশিনে দিয়ে ছোট ছোট কাটিতে পরিণত করা হয়।
এরপর একটি ড্রামে ঢুকিয়ে কাঠিগুলোকে পালিশ করে রোদে শুকানো হয়। কারখানাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০লাখ কাঠি তৈরী করা হয়। তবে এ বছরে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় আইচক্রিমের চাহিদা কম ছিল। ফলে কাঠির চাহিদা তেমন একটা না থাকায় এ বছরে কম সংখ্যক কাঠি উৎপাদন করা হয়েছে বলে শওকত জানান।
শওকত জানান, আইচক্রিমের কাঠি তৈরী করতে কাঁচামাল হিসেবে কদম, আমড়া, ছাতিম জাতীয় নরম কাঠ ব্যবহার করা হয়। তিনি কাঠি তৈরীতে ভাটাম বা ভেটুল গাছের কাঠ (স্থানীয় নাম) ব্যবহার করেন। কাঠি তৈরীর কারখানাটি মেশিন নির্ভর হলেও কাটিং, গ্রেডিং, বান্ডেল ও প্যাকেটজাত করতে বেশ সংখ্যক লোকের প্রয়োজন হয়। স্থানীয় বেকার পুরুষ ও নারীরা তার কারখানায় সানন্দে কাজ করেন। শ্রমিকদের ৫হাজার থেকে ৯হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেয়া হয় বলে তিনি জানান।
শওকত জানান, মহিলারা ঘরে বসে কাঠি গ্রেডিং, বান্ডেল বাঁধা ও পাকেটজাতকরণের কাজ করেন। প্রতি বান্ডেলে ১হাজার কাঠি থাকে। ১ বান্ডেল কাঠি তৈরীতে ৩২টাকা খরচ হয় এবং তা বিক্রি করা হয় ৩৫টাকায়। কারখানায় উৎপাদিত কাঠি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় বলে তিনি জানান।
কারখানা শ্রমিক খায়রুল, ইমন, সাগর ও বাবু জানান মীর ট্রেডিং এ তারা সানন্দে কাজ করেন। মালিক মীর শওকত তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেন। দুই ঈদে বোনাস দেন। ঈদে ছুটির দিনগুলোর বেতনও তিনি দেন।
সফল উদ্যোক্তা মীর শওকত জানান, কারখানার মেশিন ও অন্যান্য উপকরণের মূল্য খুব বেশি নয়, তাই মেধা ও শ্রম দিতে পারলে অল্প পুঁজিতে এ শিল্পে যথেষ্ঠ লাভ পাওয়া সম্ভব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সিলেটে মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর বাসভবনে হামলা ও ডাকাতি
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আওয়ামী লীগ নেতা মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর সিলেট শহরেরবিস্তারিত পড়ুন

রাবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ
রাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান ওবিস্তারিত পড়ুন

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন