২০১৫ সালে সবচেয়ে খারাপ ১০ বলিউড ছবি
বিভিন্ন স্টারদের ‘কট্টর’ সমর্থকরা হয়তো এই তালিকার সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন, কিন্তু বাস্তব এটাই। দিন কয়েক আগে অনুষ্কা শর্মা একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ‘এখনকার দর্শকদের সিনেমার টেস্ট এতটাই বাজে, যে যেকোনও সিনেমা হিট হয়ে যাচ্ছে এবং যে কেউ স্টার হয়ে যাচ্ছে।’ কথাটি কিন্তু ফেলনা বলেননি।
২০১৫-ও এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। কিছু নজরকাড়া সিনেমা অবশ্যই হয়েছে। সঙ্গে মনে রাখার মতো পারফরম্যান্সও রয়েছে। তবে এমন অনেক সিনেমা তৈরি হয়েছে, যা নিয়ে প্রত্যাশার শেষ ছিল না। মুক্তি পাওয়ার আগে যা নিয়ে ঢক্কানিনাদের চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু আদপে সেগুলো একেবারেই পাতে দেওয়ার মতো হয়নি। দেখে নেওয়া যাক এমনই ১০টি সিনেমার তালিকা।
১. শানদার: যত কম বলা যায় ততই ভালো। নামের সঙ্গে সিনেমার কোও মিল নেই। মুক্তি পাওয়ার পর ধুমধাম করে শুরু করেছিল সিনেমাটি। তবে দিন দু’য়েকের মধ্যেই বেলুন চুপসে গিয়েছিল। অনেক দর্শকের মুখে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল, ‘এই পরিচালকই কি ক্যুইন পরিচালনা করেছিলেন?’ সঙ্গত প্রশ্ন কোনও সন্দেহ নেই।
২. দিলওয়ালে: ভাগ্যিস সিনেমা বছরের একদম শেষ প্রান্তে এসে মুক্তি পয়েছে। না হলে এক নম্বর স্থানটি একেবারে পাকা করে ফেলত। শাহরুখ-কাজল, দারুণ লোকেশনে গানের শ্যুটি, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কিছুই সিনেমাটিকে ভালোর তকমা দিতে পারেনি। দর্শকরাও মনে করতে পারবেন না, এই ক্যারিসম্যাটিক জুটির এত খারাপ সিনেমা এর আগে মুক্তি পেয়েছিল কিনা। সিনেমাটি একটা কথা প্রমাণ করল, ভালো সিনেমা তৈরির জন্য ভালো স্ক্রিপ্ট এবং ভালো পরিচালনা দরকার। সেটা রোহিত শেট্টির কাছ থেকে প্রত্যাশার অনেকটাই বেশি। সুতরং যা হওয়ার সেটাই হয়েছে।
৩. কাট্টি-বাট্টি: ‘ফাইভ হানড্রেড ডেজ অফ সামার’ সিনেমাটি থেকে জেরক্স করে বানানো। কঙ্গনা থাকায় দর্শকরা প্রত্যাশাও করেছিলেন অনেকটা। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। তাঁর একার চেষ্টায় সিনেমাটিকে দাঁড় করানো যায়নি। ইমরান খান খুবই খারাপ করেছেন। রোম্যান্টিক কমেডি থেকে প্যানপ্যানানি চোখের জল মার্কা ছবি করতে গিয়ে ঘেঁটে ঘন্ট হয়ে গিয়েছে সিনেমাটি।
৪. অ্যালোন: এক দিক থেকে সিনেমাটি খুবই বার্তাবহ, সিনেমাটির নামের সঙ্গে প্রযোজক এবং পরিচালকের মিল রয়েছে। তাঁরা ছাড়া বোধহয় সিনেমাটি খুব বেশি লোক দেখেননি। একে ভয়ের সিনেমা, কিন্তু ভয় পাওয়াবে না আপনাকে। তার ওপর খুব খারাপ অভিনয়।
৫. রয়: একটা বড় প্রশ্ন সকলেই করেছেন, রণবীর কাপুর সিনেমাটি করলেন কেন? এর আগেই পর পর ভালো সিনেমার পর প্রথমে বেশরম, তার পর রয়, এই দু’টি সিনেমা রণবীরের কেরিয়ার ডামাডোল করে দিয়েছে। বলার মতো কিছুই নেই সিনেমায়। অনেক দর্শক সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে একে ‘ননসেন্স মুভি’ বলেছেন। তাঁদের খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না।
৬. হমারি অধুরি কাহানি: সিনেমাটি ভুল সময়ে মুক্তি পয়েছে। এটা আরও ৪০ বছর আগে মুক্তি পেলে হিট হত হয়তো। মহেশ ভাট-এর মায়ের আদলে তৈরি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালন। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভাট ক্যাম্পের কাছের মানুষ মোহিত সুরি। কিন্তু সিনেমাটি এতটা কান্নাকাটিতে ভরা, যে বেশিরভাগ দর্শক একটু টাটকা বাতাসের জন্য হলে গিয়ে হতাশ হয়েছেন।
৭. হিরো: সুভাষ ঘাই-জ্যাকি স্রফের সিনেমার রিমেক। আশির দশকের সিনেমা রিমেক করলে কী হয়, তা সাজিদ খান হিম্মতওয়ালা রিমেক করার পরই টের পেয়েছেন। যাক গে, সে সিনেমাটি বোধ হয় আরও খারাপ ছিল। যে কোনও পরিচালকের বোঝা উচিত তিন দশকের মধ্যে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। তাই যা খুশি পাতে দিলে তাঁরা খেয়ে নেবেন এটা ভাবাটাই ভুল। দ্বিতীয়ত, সিনেমায় কাস্ট করার আগে একটু দেখা উচিত ছিল আদপেও যাঁদের নেওয়া হয়েছে তাঁরা কেই অভিনয় করতে জানেন কিনা। এই দু’টো বিষয় বোধহয় এড়িয়ে গিয়েছিলেন নির্মাতারা। অতঃপর… এই পর্যন্তই থাক।
৮. কিস কিসকো প্যায়ার করুঁ: ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন কপিল শর্মা। কিন্তু ‘তেরা জাদু’ নেহি চলা। আব্বাস-মস্তানের পরিচালনায় তিন তিন জন নায়িকা নিয়ে কপিলের রাশলীলা কেউ খাননি। একই বিল্ডিংয়ে তিন জন মহিলাকে বিয়ে করে তিনটি আলাদা ফ্ল্যাটে থাকছেন একই লোক, জাস্ট ভেবে দেখুন ব্যাপারখানা।
৯. প্রেম রতন ধন পায়ো: দর্শকরা হলে গিয়ে আক্ষরিক অর্থে কিছুই পাননি। নায়ক-নায়িকা যাই পেয়ে থাকুন না কেন। লার্জার দ্যান লাইফ প্লট। বড় বড় সেট। কিন্তু না আছে মনে রাখার মতো গান, না আছে গল্প। সাম্প্রতিক কালের বজরঙ্গি ভাইজান বাদে সলমন খানের আর কোনও সিনেমায় গল্প বলে জিনিসটি আছে সেটা সলমন নিজেও বলবেন না। ‘ঝিন্দের বন্দি’ লেটেস্ট ভার্শন করতে গিয়ে ধন তো পেয়েছেন সুরজ বরজাতিয়া, কিন্তু কাঁচকলা পেয়েছেন দর্শকরা।
১০. হেট স্টোরি থ্রি: আগের দু’টো সিনেমা যে ভালো ছিল তা বলা যাবে না, কিন্তু এটা বোধহয় সব থেকে খারাপ। করণ সিং গ্রোভার একমাত্র অভিনেতা, যিনি এই তালিকায় দু’বার উল্লেখ করার মতো ‘সম্মান’ লাভ করেছেন। এখানেও প্রশ্ন থেকেই যায়, শরমন জোশি সিনেমাটি কেন করলেন? সেটা হয়তো তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
স্পেশাল মেনশন: তালিকায় আরও কিছু সিনেমার উল্লেখ করা যেত, যেমন মিস্টার এক্স, হাওয়াইজাদা, ডার্টি পলিটিক্স, খামোশিয়াঁ, এক পহেলি লীলা, কুছ কুছ লোচা হ্যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। সিনমাগুলিও প্রায় সমমানের খারাপ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন