২০১৬ সালের শীর্ষ ৫ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান
চলুন দেখে নিই বছর শেষে ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে শীর্ষ ৫ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের পরিসংখ্যান।
১. বিরাট কোহলি : ২ হাজার ৫৯৫ রান
তিন ফর্মেটের ক্রিকেটেই এবছর অপ্রতিরোধ্য ছিলেন বিরাট কোহলি। কেননা ম্যাচের ধরন পরিবর্তন হলেও বদলায়নি তার রান করার ক্ষুধা। গেল বছর কেবল ৪১ ইনিংসে ব্যাট করেছেন এবং ৮৬.৫০ গড়ে রান করতে সমর্থ হয়ছেন ২ হাজার ৫৯৫। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি এবং সাদা পোশাকে নিজেকে রান মেশিনে পরিণত করেছেন।
টেস্টে ক্রিকেটে ৭৫.৯৩ গড়ে ১ হাজার ২১৫ রান করেছেন যেখানে ৪টি সেঞ্চুরি ছিল। আবার এই ৪ সেঞ্চুরির ৩টিকেই ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করতে সমর্থ হয়েছেন। তার নেতৃত্বে অবিশ্বাস্য রকমের উন্নতি ঘটেছে ভারতীয় টেস্ট দলের। ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৭৩৯ রান করেছেন ৯২.৩৭ গড়ে! আর টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিং ছিল অতিমানবীয়। ১৩টি ইনিংসে অবিশ্বাস্য গড়(১০৬.৮৩) নিয়ে ১৪০.২৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৬৪১। ১৩ ইনিংসের ৭টিকে অর্ধশতকে রূপান্তর করার পাশাপাশি এই বাকি তিন ইনিংসেই অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেছেন তিনি।
২. জো রুট : ২ হাজার ৫৭০ রান
২৬ বছর বয়সী এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান সাদা পোশাকে রানের ফোয়াড়া ছুটিয়েছেন। ১৭ টি টেস্টে ৩টি শতক এবং ১০ অর্ধশতকে রান করেছেন ১ হাজার ৪৭৭, গড় ৪৯.২৩।
গেল বছরের আইসিসির টেস্ট দলেও ছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে সেরা পাঁচে ছিলেন ৭৯৬ রান করে। আর গড় তো ঈর্ষনীয়- ৬১.২৩! ওয়ানডেতে ১৪ ইনিংসের ২টিতে শতক আর ৬টিকে অর্ধশতকে রূপ দিতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ২ অর্ধশতকে ৩৭.১২ গড়ে ৯ ইনিংসে রান করেছেন ২৯৭। পুরো বছরে ৫৫ ইনিংসে ব্যাট করে ৫০.৩৯ গড়ে ২ হাজার ৫৭০ রান করেছেন। যার মধ্যে ২৩টি ইনিংসে দেখা পেয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ রানের।
৩. স্টিভেন স্মিথ : ২ হাজার ৪০৬ রান
অস্ট্রেলিয়া দলকে অসাধারণ নেতৃত্ব দেবার পাশাপাশি ব্যাট হাতে স্টিভেন স্মিথ ছিলেন দুর্নিবার। আইসিসির ঘোষিত টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে। গেল বছর সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৫১ ইনিংসে ব্যাট করে ২ হাজার ৪০৬ রান করেছেন ২০টি পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংসের মাধ্যমে। টেস্ট ক্রিকেটে ১৮ ইনিংসে ব্যাট করে ৭১.৯৩ গড়ে ৪ শতকে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯ যা গেল বছরের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ৬ষ্ঠতম।
তাছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটেও সমানভাবে ব্যাট হাতে দেখিয়েছেন আধিপত্য। ২৬টি ম্যাচ খেলে ২৫ ইনিংসে ১ হাজার ১৫৪ রান করেছেন ৫০.১৭ গড়ে। স্টিভেন স্মিথ এবং তার স্বদেশী ডেভিড ওয়ার্নার এ দুজন কেবল একদিনের ক্রিকেটে গেল বছর পেরিয়েছেন ১ হাজার রানের মাইলফলক।
৪. ডেভিড ওয়ার্নার : ২ হাজার ৩৭৪ রান
সমসাময়িক ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ক্রিকেটের তিন ফর্মেটেই গেল বছর সমানভাবে হেসেছে তার ব্যাট। আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট এবং ওয়ানডে দলে একই সঙ্গে আছেন তিনি। গেল বছর একদিনের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। ২৩ ইনিংসে ১০৫.৪৭ স্ট্রাইক রেটে ৬৩.০৯ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৩৮৮!
ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্টেও সমানভাবে দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। ৭৪৮ রান করেছেন ১৯ ইনিংসে, যার গড় ছিল ৪১.৫৫। আর টি-টোয়েন্টিতে ১০ ম্যাচে ২৩.৮০ গড়ে রান করেছেন ২৩৮। সর্বমোট ৫২ ইনিংসে ২ হাজার ৩৭৪ রান করেছেন তিনি ৪৭.৪৮ গড়ে। এর মধ্যে ১৭টি ইনিংসে তিনি পেরিয়েছেন ফিফটি রানের মাইলফলক। যার ৭টিকে দিয়েছেন সেঞ্চুরিতে রূপ।
৫. কুইন্টন ডি কক : ১ হাজার ৭৮১ রান
গেল বছর ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটিয়েয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এতোটাই দুর্দান্ত ছিলেন যে আইসিসির ঘোষিত বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই এক বছরে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৭ ইনিংসে রান করেছেন ১ হাজার ৭৮১। যার মধ্যে ১৪টি ছিল অর্ধশতক ছাড়ানো ইনিংস। এ বছর টেস্ট ক্রিকেটে ৮ ম্যাচে খেলেছেন ১৩টি ইনিংস। ২ ইনিংসে অপরাজিতসহ ৬৩.১৮ গড়ে ২ শতক আর ৫ অর্ধশতকে রান করেছেন ৬৯৫, সর্বোচ্চ রান ছিল ১২৯*।
রঙ্গিন পোশাকে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে বেশ দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। ১৭টি একদিনের ম্যাচে ৫৭.১৩ গড়ে রান করেছেন ৮৫৭। এর মধ্যে সমান ৩ বার করে খেলেছেন শতক এবং অর্ধশতক রানের ইনিংস। ব্যক্তিগত সেরা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা ১৭৮ রানের অতিমানবীয় ইনিংস। ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ অর্থাৎ টি-টোয়েন্টিতে ৭টি ম্যাচে ৩২.৭১ গড়ে রান করেছেন ২২৯।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন