মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

২৫শে মার্চে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কতটা সম্ভব?

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইট নামে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৫০ হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি করে বাংলাদেশ।

এছাড়া ২৫শে মার্চের পর থেকে ৯ মাসের যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও সরকারিভাবে দাবি করা হয়।

একাত্তরে পাকিস্তানি সেনা ও বাঙালি সহযোগীদের দ্বারা এই ব্যাপক হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়টিকে সামনে এনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে এবছর থেকে ২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস পালন করছে।

দেশের জাতীয় সংসদে এবং মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও পাশ হয়েছে।

বাংলাদেশ এখন এই দিবসটির একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আদায় করতে চাইছে।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান শাহরিয়ার কবির বলেন, দেরিতে হলেও এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

তিনি বলেন, “২০০৫ সাল থেকে নির্মূল কমিটি এ দিবসটা পালন করে আসছে। দীর্ঘকাল আমাদের দাবির প্রতি কোনো সরকারই কর্ণপাত করেননি।”

শাহরিয়ার কবির
শাহরিয়ার কবির

মি. কবির জানান, ২৫শে মার্চ আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেতে তারাও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সরকারি উদ্যোগ না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।

“আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম, ইউনেস্কোকেও চিঠি দিয়েছিলাম। জবাব হিসেবে আর্মেনিয়া থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল,বাংলাদেশে কি ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়? আমরা জানিয়েছিলাম, হয় না। পরে জবাব এল যে, যেটা বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে পালন করে না সেটা আন্তর্জাতিকভাবে কেন জাতিসংঘকে পালন করতে হবে? সে কারণে আর্মেনিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী ৯ই ডিসেম্বরে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয় জাতিসংঘে,” বলেন তিনি।

একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করেছেন ডা. এম এ হাসান। গণহত্যার আন্তর্জাতিক সংজ্ঞার আলোকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যে হত্যা, নির্যাতন হয়েছে সেটি নিশ্চিতভাবেই জেনোসাইড বা গণহত্যা।

তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে ২০০৪ সালে ইউনেস্কোর কাছে ২৫শে মার্চকে গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।

সে চিঠির জবাবেও বলা হয়েছিল জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র আবেদন করলে সেটি বিবেচনা করা যায়।

তিনি জানান, পরবর্তীকালে তৎকালীন সরকারও বিষয়টি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

একই ধরনের একটি দিবস থাকায় ২৫শে মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে একটি বিশেষজ্ঞ সেল গঠন করে কাজ করা প্রয়োজন বলে মি. হাসান মনে করেন।

এম এ হাসান, গবেষক
এম এ হাসান, গবেষক

“বাংলাদেশের জনগণের “আত্মপরিচয়ের সন্ধান দেবার জন্য এ দিনটিকে একটি ভিন্ন নামে হলেও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন এবং সেটা সম্ভব। যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একাত্তরে আমাদের দেশে যে গণহত্যা হয়েছিল, যেটা কোনো রেকর্ডে স্বীকৃত নয়, ইম্পেরিয়াল ওয়্যার মিউজিয়ামসহ পৃথিবীর বিভিন্ন আর্কাইভে যেটা নানা কারণে উপেক্ষিত, সে বৃত্ত থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি,” বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, ২৫শে মার্চ দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্যে তারা এখন থেকে তৎপরতা শুরু করছে। যদিও দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি হত্যা, রোয়ান্ডা ও ক্যাম্বোডিয়ার মতো হাতেগোনা কয়েকটি ঘটনাকে জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তাছাড়াও এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত রয়েছে। এ ব্যাপারে শাহরিয়ার কবির বলেন,

“পশ্চিম ইউরোপের বহু দেশ প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে ৭১-এ গণহত্যাকারীদের সমর্থন দিয়েছে। আমেরিকা, চীন, তথাকথিত ইসলামি উম্মাহ এরা কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষেই ছিল। তারা গণহত্যার ব্যাপারে সরকারিভাবে প্রতিবাদ করেনি যদিও সেসব দেশের গণমাধ্যম এবং জনগণ এর নিন্দা করেছে।”

মি. কবির জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে তারা বন্ধু দেশগুলোর সংসদে এ দিবসের স্বীকৃতিতে এক প্রস্তাব পাশ করার উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।

“আমরা বলছি সেসব দেশের (৭১এ পাকিস্তানের পক্ষে) কাছে পরে যাওয়া যাবে, আগে বেশিরভাগ দেশের কাছ থেকে আমরা স্বীকৃতিটা নিয়ে নেই। তারপরে আমাদের বন্ধুদেরকে নিয়েই আমরা জাতিসংঘে যাব। তখন আমরা আশা করতে পারি যে অদূর ভবিষ্যতে জাতিসংঘেরও স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। কারণ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন দলিলপত্রেও বলা হয়েছে যে স্মরণকালের ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যার একটি বাংলাদেশে ঘটেছিল ১৯৭১ সালে।”

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক

বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা চালালেও সব সরকারই এ ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়েছে।

এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, “একসাথে তো সব কাজ করা যায় না। যেমন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার। আগে তো একটা জিনিস করার মতো অবস্থা সৃষ্টি করতে হয়, জনমত সৃষ্টি করতে হয়, পরে সিদ্ধান্ত নিলে সিদ্ধান্তটা বেশি কার্যকর হয়। তাই আমরা মনে করেছি আগে একটা জনমত সৃষ্টি হোক, জনসাধারণ উপলব্ধি করুক যে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তৎপর হওয়ায় এ কাজটা আমাদের করা দরকার।”

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা