২৮ বছর পর মায়ের দেখা পেলেন দুই মেয়ে !
হাতের ছয় আঙুল চিনিয়ে দিল ছোট মেয়েকে৷ তা নাহলে ডিএনএ টেস্ট করাতে হত৷ অবশেষে জন্মের পর প্রথমবারের মতো মাকে আবেগে জড়িয়ে ধরলেন দুই মেয়ে৷ ২৮ বছরের ব্যবধান৷ এতদিনের অদেখায় মেয়েদের মুখ ভুলেই গিয়েছিলেন নাজিয়া সইদ৷ হায়দরাবাদ নিবাসী এই মহিলার সঙ্গে তাঁর দুই কন্যার যোগাযোগ করাল পুলিশ৷
৬০ বছরের নাজিয়া সইদ তাঁর মেয়ে আয়েশা ও ফতিমাকে ১৯৮৮ সালে শেষবার দেখেছিলেন৷ তখন তিনি দুবাইয়ে স্বামী ওবেদ মাসমেরির সঙ্গে থাকেন৷ স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হয়ে প্রবল অশান্তির মধ্যে জীবন কাটত৷ পরপর কন্যা সন্তান হওয়ায় নাজিয়াকে তালাক দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয় তার স্বামী৷ আর দুই মেয়ে আয়েশা ও ফতিমাকে জোর করে নিজের কাছেই রেখে দেয়৷ দেশে ফেরার কয়েকবছর পর নাজিয়ার সঙ্গে কর্ণাটকের এক ফল ব্যবসায়ীর বিয়ে হয়৷ এই পক্ষে দুই পুত্র ও এক কন্যার মা তিনি৷
এদিকে দুবাইতে বড় হওয়া আয়েশা ও ফতিমা কোনোভাবেই মাকে ভুলতে পারেনি৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর তারা ভারতে আসে৷ হায়দরাবাদে পৌঁছে নাজিয়া সইদের খোঁজে পুলিশের সাহায্য চায়৷ সঙ্গে ছিল মায়ের ছবি৷ পুলিশ সেই মহিলার ছবি হায়দরাবাদের পুরনো এলাকার সব থানায় পাঠিয়ে দেয়৷ অনেক খুঁজে মেলে নাজিয়া সইদের ঠিকানা৷ পুলিশের কাছে সব শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নাজিয়া সইদ৷ দুবাইতে ছেড়ে আসা তার দুই কন্যার মুখ মনেই ছিলনা৷ শুধু জানতেন তাঁর ছোট মেয়ের এক হাতে ৬টি আঙুল ছিল৷ সেটা জানতে পেরে হায়দরাবাদ পুলিশের তরফে যোগাযোগ কার হয় আয়েশা ও ফতিমার সঙ্গে৷ এবার ফতিমা জানান তাঁর হাতে ৬টি আঙুল ছিল৷ কয়েক বছর আগে সেটি অপারেশন করে বাদ দিয়েছেন৷ আবার হায়দরাবাদে আসেন আয়েশা ও ফতিমা দেখা হয় তাদের মায়ের সঙ্গে৷
কত বড় হয়ে গিয়েছে মেয়েরা ! ভাবতেই পারছেন না মা নাজিয়া৷ ২৮ বছর পর মেয়েদের কাছে পেয়ে আপ্লুত তিনি৷ উচ্ছ্বসিত দুই মেয়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন হায়দরাবাদ পুলিশকে৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন