২ বার মায়ের গর্ভ থেকে বাইরে এলো শিশুটি
মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়ার ৫ মাস ১৭ দিন পর একবার গর্ভের বাইরে আসতে হয়েছিল শিশুটিকে। তার তিন মাস পর অর্থাৎ ৮ মাসে পুরোপুরিভাবে মাতৃগর্ভের বাইরে আনা হয় তাকে।
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও বিরল এই ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার হিউস্টনে। যার নেপথ্যে রয়েছে একটি মারণ টিউমার এবং তার অস্ত্রোপচার।
কেমন ছিল সেই অস্ত্রোপচার? কেমনই বা রয়েছে সেই শিশু?
শিশুটির মা মার্গারেট বোমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তিন মাস পর থেকেই লক্ষ করেন মাতৃগর্ভের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় টিউমার ধরা পড়ে।
স্যাক্রোকক্কিজিয়াল টেরাটোমা নামে মারণ টিউমারটি অপরিণত ওই শিশুর ‘টেলবোনে’ ঘাঁটি গেড়েছিল। খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই শিশুর সমান আকার ধারণ করে টিউমার। তখন মাতৃগর্ভে তার বয়স মাত্র ৫ মাস। বিপদসঙ্কেত দিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।
মা মার্গারেটকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আর কিছু দিন এভাবে থাকলে টিউমারের চাপে হৃদযন্ত্র স্তব্ধ হয়ে মৃত্যু হয়ে যাবে তার।
একটা ঝুঁকি নিতেই হত। তাই নিজের শিশুকে বাঁচাতে অস্ত্রোপচারে রাজি হয়ে যান মা মার্গারেট। কিন্তু মাতৃগর্ভের ভিতরে অস্ত্রোপচার করাটা অসম্ভব ছিল। ৫ মাস ১৭ দিনের সেই অপরিণত মাংসপিণ্ডকে তাই মাতৃগর্ভের বাইরে আনা হয়।
ক্ষতি রুখতে অত্যন্ত সাবধানে সেলাই করে দেওয়া হয় মাতৃগর্ভের পাতলা পর্দা (অ্যামনিয়ন)। প্লাসেন্টার মাধ্যমে শিশুটির অবশ্য মায়ের সঙ্গে সংযোগ ছিল। এর পর বাইরেই অস্ত্রোপচার হয় শিশুটির। কেটে বাদ দেওয়া হয় দোসর টিউমারটিকে।
মাত্র ২০ মিনিটের জন্য বাইরে থাকার পর ফের মাতৃগর্ভে স্বস্থানে রেখে দেওয়া হয় তাকে। এরও তিন মাস পরে অর্থাৎ ৮ মাসে পুরোপুরি ভাবে মাতৃগর্ভের বাইরে আনা হয় তাকে। জন্ম হয় শিশুটির। চলতি বছরের জুনেই জন্মগ্রহণ করেছে মার্গারেট-কন্যা। সে সম্পূর্ণ সুস্থ এখন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন