২ হাজার ১২৯ কোটি টাকার আয়কর আদায়

এবারের আয়কর মেলায় দুই হাজার ১২৯ কোটি ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮১১ টাকার কর আদায় হয়েছে। মেলায় সেবাগ্রহণ করেছেন নয় লাখ ২৮ হাজার ৯৭৩ জন। আর রিটার্ন দাখিল করেছেন এক লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁয়ে মেলা প্রাঙ্গণে সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো.শফিউল আলম। আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) নাগরিকের সংখ্যা ১৮ লাখ হলেও রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩৫ হাজার।
মেলায় জানানো হয়, মেলার সপ্তম দিনে সেবা গ্রহণ করেছে এক লাখ ৫১ হাজার ৭৭৯ জন। রিটার্ন দাখিল করেছেন ৪৪ হাজার ৬০৪ জন। আয়কর সংগ্রহ হয়েছে ৪০১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৪ টাকা। নতুন ই-টিআইএন গ্রহণ করেছেন পাঁচ হাজার ৭২ জন। সব মিলিয়ে এবারের আয়কর মেলায় সেবা গ্রহণকারী নয় লাখ ২৮ হাজার ৯৭৩ জন, যা গত বছর ছিল সাত লাখ ৫৭ হাজার ৭৫৪ জন। রিটার্ন দাখিল করেছেন এক লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন, যা গত বছর ছিল এক লাখ ৬১ হাজার ৬০ জন। ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ স্লোগান নিয়ে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আয়কর মেলা।
সোমবার ছিল মেলার শেষ দিন। শেষ দিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বুথের সামনে করদাতাদের লম্বা লাইন। তবু উৎসবের আমেজ। মেলায় আগত করদাতাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা। অনেক করদাতা মেলার সময় বাড়ানোর দাবি করছেন। অনেকে মেলা প্রাঙ্গণের মেঝেতে বসে রিটার্ন ফরম পূরণ করছেন। এক বুথ থেকে অন্য বুথে যেতেও লাইন ধরতে হয়েছে।
শেষ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৩টি জেলা, ৩১টি উপজেলায় (৮টি ভ্রাম্যমাণ) মোট ৪৪টি স্পটে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে দুপুরে আয়কর মেলা পরিদর্শনে আসেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। সংসদীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন টিপু মুনশি, বেগম আক্তার জাহান ও শওকত চৌধুরী। এনবিআর আয়োজিত সেমিনারে ড. রাজ্জাক বলেন, ঢাকা শহরে কী পরিমাণ মানুষের আয়কর দেয়া উচিত এবং কী পরিমাণ মানুষ আয়কর দিচ্ছেন, সে বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করা দরকার। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা আছে।আমাদের দেশে যারা কর ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, সেই কৌশলটি বের করতে হবে। আর এটা বের করতে পারলেই এনবিআর সফল হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন

সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন

১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন