৮০ বছর যে সিন্দুকটি বন্ধ ছিল, তাতে কি আছে কিইবা রেখে গেছেন জগদীশচন্দ্র ?
স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অঞ্চলের বিক্রমপুর (বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলা) শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে তাঁর পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে।
জগদীশচন্দ্র বসু সংগ্রহশালায় প্রায় ৮০ বছর ধরে পড়ে আছে তাঁর ব্যবহৃত একটি সিন্দুক। ১৯৩৭ সালে জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যুর পর থেকে সিন্দুকটি বন্ধ। ধারণা করা হচ্ছে, খুললে ওই সিন্দুক থেকে হয়তো বেরিয়ে আসতে পারে কোনও অমূল্য সম্পদ। হয়তো বেরিয়ে আসতে পারে কোনও সমৃদ্ধ বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্র!
গিরিডির জগদীশচন্দ্র বসু সংগ্রহশালায় সিন্দুকটি রাখা আছে সেই ১৯৩৭ সাল থেকেই। জেলাশাসক উমাশঙ্কর সিংহ থেকে শুরু করে জেলার ইনফরমেশন অফিসার শিবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ এডুকেশন মেহমুদ আলম—সবাই এ ব্যপারে একতম যে, এতদিন ধরে ওই সিন্দুকের মধ্যে কোনও মূল্যবান কাগজপত্র পড়ে থাকলে তা নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত ওই সিন্দুক খোলা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন, কে খুলবে ওই সিন্দুক?
শিবকুমারবাবুর বলেন, বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর ওই ঐতিহাসিক সিন্দুক যে কেউ খুলে ফেলুক, তা আমরা চাইনি। তাই ঠিক করেছিলাম, ওই সিন্দুকটি খুলবেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছিলেন। কিন্তু কার্যকারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।
জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, ২০০২ সালের জুন মাসে আবদুল কালাম রাঁচির বোকারোয় আসেন। তখন ঠিক হয় বোকারোর অনুষ্ঠানের পরে তিনি গিরিডি যাবেন ওই সিন্দুকটি খুলতে। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে গিরিডির উদ্দেশে আর কালামের হেলিকপ্টার ওড়েনি। তার পরেও জগদীশচন্দ্রের সিন্দুক খুলতে ও সংগ্রহশালাটি ঘুরে দেখতে আসার কথা ছিল কালামের।
কিন্তু কোনও কারণে সেই অনুষ্ঠানও বাতিল হয়ে যায়। সম্প্রতি মারা গিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে কালাম। প্রশ্ন উঠেছে তা হলে কি সিন্দুক খোলার পরিকল্পনা আরও পিছিয়ে গেল? জেলাশাসক উমাশঙ্কর সিংহ বলেন, কালাম যদি ওই সিন্দুকটি খুলতেন তা হলে খুবই ভাল হত। তবে উনি যখন আর নেই তখন অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। ওই সংগ্রহশালার দায়িত্বে আছেন জেলার সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ এডুকেশন, মেহমুদ আলম। তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন