শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

পশু-পাখির পরে এবার মানুষের চিড়িয়াখানা

চিড়িয়াখানায় সাধারণত আমরা পশু-পাখি দেখতে যাই। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাস এমনও ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে, যে সময় চিড়িয়াখানায় পশু নয়, রাখা হতো কালো চামড়ার মানুষদের। আর তাদের দেখতে যেত ইউরোপের সাদা চামড়ার মানুষেরা। এই ঘটনা খুব বেশি বছর আগের নয়। উনবিংশ শতাব্দীর। আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের ধরে আনা হতো। তাদের রাখা হতো খাঁচার মধ্যে। আর সেই কৃষ্ণাঙ্গদের দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় করত মানুষ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এমন শত শত মানুষের চিড়িয়াখানা ছিল। প্যারিস, হামবুর্গ, জার্মানি, বেলজিয়াম, স্পেন, লন্ডন, বার্সেলোনা, মিলান, পোল্যান্ড, সেন্ট-লুইস কিংবা নিউইয়র্ক- সবখানেই ছিল এমন চিড়িয়াখানা। সেগুলোতে প্রাণীদের মতো রাখা হতো কালো চামড়ার মানুষদের। তাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হতো, যেমনটা এখন বাচ্চারা চিড়িয়াখানায় গেলে পশুদের সঙ্গে করে।

আসলে বর্ণবাদ কথাটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। এক সময় পুরো পৃথিবীতে আতঙ্কের অন্য নাম ছিল বর্ণবাদ। যদিও বর্তমানে অনেক দেশের মানুষই বর্ণবাদের শিকার। কিন্তু পূর্বে এই অবস্থা ছিল আরো ভয়ানক। বর্ণবাদের শিকার হয়ে অনেকেই অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে। বর্ণবাদের চরম পরিণতির ফলস্বরূপ ইউরোপে সৃষ্টি হয়েছিল শত শত মনুষ্য চিড়িয়াখানা।
jj
১৮০০ সালের শেষ দিক থেকে ১৯০০ সালের প্রথম ভাগ পর্যন্ত সমগ্র ইউরোপজুড়ে মনুষ্য চিড়িয়াখানার অস্তিত্ব ছিল। তখনকার সাদা চামড়ার মানুষদের কাছে জনপ্রিয়তাও ছিল এগুলোর। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এই মনুষ্য চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে আসত। সেখানে চামড়ার আফ্রিকান নিগ্রো ও উপজাতিদের প্রদর্শন করা হতো। তাদের কখনো কখনো অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাখা হতো। বিভিন্ন জন্তু যেমন বানর, ওড়াংওটাং, হনুমানদের সেই খাঁচায় ঠেলে দেওয়া হতো। আর এটা ছিল তখনকার মানুষদের কাছে অন্যতম বিনোদন।

১৯০০ সালের প্রথম দিকে বনোক্স চিড়িয়াখানায় একটি অমানবীয় প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বঙ্গা নামের এক কঙ্গো অধিবাসীকে ওড়াংওটাংয়ের খাঁচায় ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গাকে খাঁচায় থাকা ওড়াংওটাংটির অনুকরণ করতে হতো। সে যখন ওড়াংওটাংয়ের অনুকরণ করত তখন দর্শনার্থীরা খুব মজা পেত। অমানবিক, নির্মম অট্টহাসিতে ফেটে পড়ত সবাই।

১৮৮৯ সালে প্যারিসে আয়োজিত ‘বিশ্বমেলায়’ ১৮ মিলিয়ন মানুষ অংশ নিয়েছিল। তখনই বাইরের দুনিয়ার মানুষ এটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে। ১৯০০ সালের পর অনেকেই এর বিরোধিতা করলেও জোরালো কোনো প্রতিবাদ ওঠেনি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অ্যাডলফ হিটলার এটিকে কঠোর হস্তে দমন করেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন

  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ
  • রিয়াদে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপে বসছে বাংলাদেশ