শুক্রবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

সেই ফোনালাপে নূর হোসেনকে আশ্বস্ত করেছিলেন শামীম ওসমান!

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান হোতা নূর হোসেনকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। খুনের পর পরই তিনি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যান।তার এই পালিয়ে যাওয়া নিয়েও তখন নানা কথা শোনা যায়।

বলাবলি হচ্ছিল, তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন নারায়ণগঞ্জের এক প্রভাবশালী নেতা।পরে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান ও নূর সোহেনের মধ্যে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।এ নিয়ে তখন ব্যাপক হৈচৈ পড়ে যায়।হত্যার দুই দিন পর ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে শামীম ওসমানকে ফোন করেন নূর হোসেন। দুই মিনিটের মতো কথা হয় তাঁদের মধ্যে৷ আমাদের কণ্ঠস্বর-এর পাঠকদের জন্য সেই ফোনালাপটি ফের তুলে ধরা হলো-

শামীম ওসমানকে ফোন করেন নূর হোসেন। তিনি ফোন ধরে বলেন, ‘খবরটা পৌঁছাই দিছিলাম, পাইছিলা?’ জবাবে নূর হোসেন বলেন, ‘পাইছি, ভাই।’ শামীম ওসমান বলেন, ‘তুমি অত চিন্তা করো না।’ নূর হোসেন এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে শামীম ওসমানকে বলেন, ‘ভাই, আমি লেখাপড়া করিনি। আমার অনেক ভুল আছে। আপনি আমার বাপ লাগেন। আপনারে আমি অনেক ভালোবাসি, ভাই। আপনি আমারে একটু যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।’ জবাবে শামীম ওসমান বলেন, ‘এখন আর কোনো সমস্যা হবে না।’ শামীম ওসমান ‘গৌর দা’ বলে এক লোকের সঙ্গে নূর হোসেনকে দেখা করতে বলেন।
সেই ফোনালাপে নূর হোসেনকে আশ্বস্ত করেছিলেন শামীম!

কথোপকথনের এই পর্যায়ে নূর হোসেনের কাছে শামীম ওসমান জানতে চান, কোনো সিল (সম্ভবত ভিসা) আছে কি না। সিল থাকার কথা জানিয়ে নূর হোসেন বলেন, ‘আছে আছে, সিল আছে, কিন্তু যামু ক্যামনে? যেভাবে বলল অ্যালার্ট (রেড অ্যালার্ট)।’ শামীম ওসমান বলেন, ‘তুমি আগাইতে থাক।’ নূর হোসেন তখন বলেন, ‘ভাই, তাহলে একটু খবর নেন। আমি আবার ফোন দেই।’

কথাবার্তার একপর্যায়ে শামীম ওসমান নূর হোসেনকে বলেন, ‘তুমি কোনো অপরাধ করো নাই। আমি জানি, ঘটনা অন্য কেউ ঘটাইয়া এক ঢিলে দুই পাখি মারতেছে।’ এ সময় শামীম ওসমান নূর হোসেনের কাছে জানতে চান, এই নম্বরটি (ফোন) নতুন কি না৷ নূর হোসেন ‘হ্যাঁ সূচক’ জবাব দেন৷ শামীম ওসমান বলেন, তিনি নূর হোসেনকে তাঁর আরেকটি নম্বর পাঠাবেন যোগাযোগের জন্য৷

তদন্তকারী সংস্থার সূত্র দাবি করছে, এরপর নূর হোসেন দেশ ছাড়েন। আগের দিন ২৮ এপ্রিলও নূর হোসেন সারা দিন সিদ্ধিরগঞ্জে ছিলেন। ২৮ এপ্রিল গভীর রাতে ঢাকায় চলে আসেন এবং গুলশান এলাকায় অবস্থান করেন। ২৯ এপ্রিল রাত নয়টায় ধানমন্ডিতে অবস্থান করার সময়ই শামীম ওসমানের সঙ্গে কথা বলেন নূর হোসেন। এর পর থেকে তিনি নিজের ফোন বন্ধ রাখেন। ধারণা হচ্ছে, ওই রাতেই তিনি ভারতে চলে যান৷

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

  • যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত