বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কাগজী নোট চালু হয় ১৯৭২ সালে

১৯৭২ সালের ৪ মার্চ এক টাকার নোট প্রচলনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম নিজস্ব কাগজী মুদ্রা চালু হয়। বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত ছিল সেই নোট। এই নোট ছাপা হয় ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে। এর ডিজাইনের দায়িত্বও দেওয়া হয় ভারতের এই প্রেসকে।

৫ ও ১০০ টাকার নোটও চালু হয় ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। আর ওই বছর ২ মে চালু হয় ১০ টাকা মূল্যমানের নোট। এসব নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত ছিল। দেশে প্রথম ধাতব মুদ্রা চালু হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই। ১ পয়সার এই মুদ্রা বিদেশ থেকে আনা হয়।

এ বিষয়ে টাকা যাদুঘরের কিপার ড. আছিয়া খানম বাসসকে বলেন,স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দ্রুততার সাথে নোট ও ধাতব মুদ্রা চালু করা হয়। তবে ভারত থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে নোট মুদ্রণের কারণে সেসময় নিরাপত্তা জলছাপসহ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা সম্ভব হয়নি।

জলছাপের অনুপস্থিতি ও ইংরেজী ভাষা ব্যবহারের কারণে এই নোট চারটি সেভাবে গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ায় ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ এগুলো বাতিল করা হয় বলে তিনি জানান।

দ্বিতীয় সিরিজে নোট মুদ্রণ করা হয় যুক্তরাজ্য থেকে যার ডিজাইন এডভাইজারী কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, কে জি মুস্তফা, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ও শিক্ষাবিদ নীলিমা ইব্রাহিম।

দ্বিতীয় সিরিজে এক টাকার নোট ইস্যু করা হয় ১৯৭৩ সালের ২ মার্চ,৫ টাকা ১৯৭২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ১০ ও ১০০ টাকার নোট যথাক্রমে ওইবছরের ২ জুন ও ১ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা হয়।তবে বাংলা সিরিয়ালযুক্ত নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেসময় বাংলা সিরিয়ালযুক্ত ১০ টাকার নোট ছাপা হয়।

পরবর্তীতে সুইজ্যারল্যান্ড,কোরিয়া,জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া থেকেও বাংলাদেশের নোট ছাপা হয়। আর দেশে প্রথমবারের মত নোট ছাপা হয় ১৯৮৮ সালে টাকশাল স্থাপিত হওয়ার পর।

দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাসসকে বলেন,১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে টাকশাল স্থাপিত হয়।ওইবছরই দেশে প্রথমবারের মত নোট ছাপানো হয়। পরে সেটা কেন্দ্রিয় ব্যাংক ইস্যু করে।

তিনি বলেন,টাকশাল স্থাপিত হওয়ার পর থেুকে দেশেই সব ধরনের কাগজী মুদ্রা ছাপা হচ্ছে। তবে এখনও ধাতব মুদ্রা বিদেশ থেকেই আনা হয়।

২ টাকার নোট চালু হয় ২৯ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে। ১৯৭৬ সালের ১ মার্চ ৫০ টাকার নোট চালু করা হয়। আর একই বছর ১৫ ডিসেম্বর বাজারে ছাড়া হয় ৫০০ টাকার নোট।

২০ টাকার নোট প্রথম বাজারে আসে ১৯৭৯ সালের ২০ আগস্ট। আর ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই বাজারে আসে ১ হাজার টাকার নোট।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রেজারি ও ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটে, যার বড় অংশই ছিল মুক্তিযুদ্ধের খরচ নির্বাহের জন্য। এই টাকাকে নিস্ক্রিয় করার জন্য ১৯৭১ সালের জুন মাসে তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক সরকার ১০০ ও ৫০০ রুপির সব নোট বাতিল ঘোষণা করে। সে সময় বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলে এবং সীমান্তের ওপারে যেসব পাকিস্তানি নোট চলত,সেগুলোর কোনো কোনোটির ওপর ‘জয় বাংলা,’ কিংবা ‘বাংলাদেশ’ অথবা ‘ঢাকা’ সিল মারা থাকত। পাকিস্তান সরকারের ঘোষণায় এ রকম সিল মারা নোটগুলোও বাতিল করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর কয়েক মাস পর্যন্ত পাকিস্তানি মুদ্রা চালু ছিল। ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম যে নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়, সেটি পাকিস্তানি ৫০ রুপির নোট। এই নোট ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসে জমা দেওয়ার জন্য তিন দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।-বাসস

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলা ভাষা ওবিস্তারিত পড়ুন

মোহাম্মদপুরে ৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার

ঢাকা মহানগরের মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেলের আওতাধীন বড়সায়েক মৌজায় দীর্ঘদিন ধরেবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

রাত পোহালেই বগুড়ার তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলীতে ৬ষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন

  • সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
  • আজ আইওএম মহাপরিচালক ঢাকায় আসছেন 
  • অর্থনীতির প্রভাব থেকে বাংলাদেশ মুক্ত আছে : ওবায়দুল কাদের
  • গনতন্ত্র সুসংহত করাতে সবার অংশগ্রহণ জরুরী : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • সেনাবাহিনীকে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
  • নবনির্মিত এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • আজ আইওএম মহাপরিচালক ঢাকায় আসছেন 
  • প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকার টিকিটে চোখ পরীক্ষা করালেন
  • সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা
  • ইবির শেখ রাসেল হলের নয়া প্রভোস্টের দায়িত্বগ্রহণ
  • পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
  • অবশেষে রাতে ঢাকায় ঝরছে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি