রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ রে….’

‘’মানুষ’’ কে ঘিরে আমার ‘’আবেগ’’ ‘আগ্রহ’’ ‘’উৎসাহ’’ ‘’ভাবনা’’ ‘’চাওয়া’’ ‘’পাওয়া’’ ‘’আনন্দ’’ ‘’হাসি’’ ‘’কান্না’’ ‘’মায়া’’ ‘মমতা’’ এবং ভালোবাসার পৃথিবী আজন্ম! জীবনের জয়গান গাইতে ‘’মানুষ’’ এবং তাঁদের ঘিরে থাকা ভালোবাসাময় পৃথিবীকে আঁকড়ে ধরি, ছুঁয়ে থাকার চেষ্টা করি সব সময়। চারপাশের নানান রকমের মানুষের ভিড়ে তারপরও দিন শেষে ‘’একদম আমার বুকের মধ্যিখানে ঠায় করে নেয় অল্প কিছু চেনা মুখ’’ই !!!

একদম ছেলেবেলার ‘প্রিয় মুখ’ গুলো, কে বা কারা বা কেন, আজ তা অনেকটাই ঝাপসা। তারপরও হারিয়ে যাওয়া প্রিয় সেই মানুষ-গুলোকে ভীষণ যতনে বুকের মাঝেই রেখে দিয়েছি। যে আদলে সেই ‘’মানুষেরা হৃদয় পটে খোঁদাই হয়েছে তা যেন কিছুতেই নষ্ট না হয় সেই চাওয়াকেই লালন করে যাচ্ছি নীরবে।

সময়ের সাথে সাথে পরিবারের বাইরে, স্কুল কলেজ প্রতিবেশী ‘’নানান রকম প্রিয় মুখ, প্রিয় মানুষ যোগ হতে থাকে! বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরী জীবনে এসে সেই তালিকা আরো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। কারো খুব সহজ করে ভাবতে পারা গুণ, সব কিছুকে ভালোবেসে কাছে টেনে নেয়া, সহজ করে সহজ কথা বলা, জীবনের আনন্দ পাঠ কে খুঁজে নেয় এমন মানুষেরা এবং বিশেষ ভাবে, সুন্দর করে কথা বলা মানুষ এই সব নানান রকম ভালোলাগা ভালোবাসার আবেগের পরশে জড়িয়ে নেই পরানের গহীনে অনেক অনেক মুখ। মোট কথা নিজের মাঝে যা কিছুর কমতি, সেই রকম কিছু অল্প পরিচয় বা বেশী পরিচয়ের সুত্র ধরে যে কোন মানুষের মাঝে পেলেই লেপটে যাই তারে প্রানেতে প্রাণ লাগিয়ে। আমার মুগ্ধ হওয়ার ক্ষমতা নিজেকেও মুগ্ধ করে, সেই মুগ্ধতা আমাকে প্রতিনিয়ত হাসায় আবার কাঁদায় এবং ভালোবাসায় জীবন কে নব নব রুপে।

তবে আজ জীবনের এ বেলায় এসে আবার পাই সেই মানুষদের, ফেসবুকেই আছে আমার প্রিয় প্রিয় মুখের অনেক অনেক মানুষেরা। আছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেনা জানা বেশ কিছু মানুষ, বলাই বাহুল্য যাদের আমি ছিলাম ‘মন্ত্র মুগ্ধ’। কেউ কেউ এতো পড়ুয়া (নিজে যেহেতু সেটা না) ভীষণ সমীহ করতাম তাঁদের জ্ঞান গরিমার। কেউ কেউ ছিল এতো এতো গুছানো সুন্দর মানুষ, ভীষণ ভালো লাগায় বুঁদ হয়ে থাকতাম তাঁদের দেখে। কেউ কেউ এতো হাশি-খুশি, জীবনে এতো বেশী আনন্দ আবহ ছড়িয়ে রাখত চারদিকে, তাঁদের ঘিরেও ছিল মুগ্ধতা। কেউ কেউ কি ভীষণ রুচিশীল ছিল পোশাক পরিচ্ছদে, বিশেষ করে কিছু মেয়ে বন্ধু যারা কোন রকম আলগা আভিজাত্য শো অফ না করেও সাধারণ কোন পোশাকেই হয়ে থাকতো অনন্যা। যে মানুষটি জীবন কে উপভোগ করত সরল সহজ আবহে, শুধু ভালোবাসতো মানুষ কে, তাঁদের কাউকে দেখেই মনে হতো ‘’আহা জীবন’’ আহা বেঁচে থাকা মধুর হতে পারে এই মানুষদের ভালবেসেই!

আমার দেখা বা জানা গুলো ‘’সময়’’ প্রায় অনেকের কাছ থেকেই কেড়ে নিয়েছে। পরিপাটি কোন না কোন গোছানো সুদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক উচ্চ শিক্ষিত বড় ভাই কে দেখি ‘যে বাংলাদেশ এ বাস করে তার জন্মই মানে না’’! যে ছেলে মানুষ’টি তার সামনে দাঁড়ানো মানুষটি’কে মানুষ হিসেবেই শুধু বিবেচনা করত, সে দেখি আজকাল মানুষটি ‘’ছেলে না মেয়ে’’ ‘’হিন্দু না খ্রিষ্টান’’ ভারতীয় না অন্যদেশী জেনে তাকে ‘’মানুষ’’ বলে বিবেচনা করে। যে মেয়েটি সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি এমন ভাবনায় ‘’মানুষ’’ কে ভালোবেসে দিন কাটাতো এখন তার সময় কাটে রঙিন রঙিন আভিজাত্যে মোড়া নানান পোশাকে সকাল থেকে রাত নিজেকে কত ভাবে উপস্থাপন করা যায় সেই ভাবনায়, এবং অন্যেরা কি কি পোশাক পরিধান করল, কেন করল সেই সমস্যায়!

আমার বেশীর ভাগ ভালো লাগাই আর বুঝি অক্ষত থাকবে না। যখন দেখি যাদের জ্ঞান গরিমায় মুগ্ধ ছিলাম, তাঁরা আসলে ‘’বাংলাদেশের রেডিও পেজ জ্ঞান বিতরণী’’তে আটকে গেছে, এর বাইরে বেরই হতে পারছেনা। যখন দেখি ‘’তাজা খবর’’ জাতীয় খবরেই আটকে আছে তাঁহাদের মনোজগৎ। যখন দেখি ১০০০/২০০০ বছর আগের ছবি পোস্ট দিয়ে নিজেদের জীবনকে আলো করার সেকি প্রানান্ত চেষ্টা। যখন দেখি একটি মেয়ে বন্ধু অনেক বেশী বিত্ত বৈভবে থেকে ঠিক নিজে যে পোশাক পরিচ্ছদের আড়ম্বর সারম্ভর মেনে চলছে সে জীবনের একবারে অন্য মেরুতে থাকা অন্য একটা মেয়ে বন্ধুর কাছে তেমনটাই আশা করছে। যে ছেলে বা মেয়ে টা মনে করত বন্ধু মানে বন্ধুই, সে কি লিঙ্গ এটা জরুরি বিষয় না, এখন সে তার মেয়ে বন্ধু’টাকে নিতান্তই একটা ‘’ছোলা কলা’’ বা ‘’ভেনভেনে মাছি যুক্ত মধু মনে করে’। যে মেয়েটি উচ্চ শিক্ষার্থে বিশ্বের নামি দামি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, সেই মেয়েটিই বাংলাদেশী অন্য একটা মেয়ে অমুক জায়গায় একটা অশালীন (!) কাপড় পড়েছে তাই সে খুব খারাপ এমন হিসেব নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় দিন কাটায়। ‘’আমার দেখা অনেক মানুষ’দের ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম এবং জীবন বোধ নিয়ে ‘চিন্তা চেতনার অন্ধকার দিক গুলো ভীষণই শংকিত করে তোলে আজকাল ফেসবুকের বদৌলতে।

নিজের ভিতরের অনেক অনেক চিন্তার ক্ষুদ্রতা আছে, সীমাবদ্ধতা আছে সে গুলো নিয়ে অনেক সময়ই গুটিয়ে থাকি। নিজের থেকে তাই চিন্তা চেতনায় উচ্চতর মানুষদের, সহজ সরল মানুষদের তাই প্রতিনিয়ত খুঁজি, সেটা এমন সব বিষয়াদিতে আটকে থাকতে দেখে নিজের নিঃশ্বাসও বারবার আটকে যায় মাঝে সাঝে। হায় তাইলে কি ভুল, সবই ভুল? ‘একটা মানুষ’কে কি তার চিন্তা চেতনার জগতটা জানা ছাড়া সবটুকু ভালোবাসা যায়? আমি সেই একটা মানুষ খুজি, আমি সেই মানুষের মুখ গুলোকে আঁকড়ে ধরে পার করতে চাই আমার ‘’আটপৌরে জীবন। কিন্তু দিনশেষে চোখ বুঝে ‘’মনের মত ভালোলাগা’’ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মুখ সেই গুটি কয়’ই! যদিও নতুন করে তাই আর খোঁজার তাগিদ নেই, তবে প্রিয় প্রিয় তালিকা থেকে লাল কালি দিয়ে নাম কেটে দিতে হয় প্রায়ই নিতান্তই অনিচ্ছায়, কাজটা সহজ করার জন্যেই নেপথ্যে গান চালিয়ে দেই ‘’ আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে….

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?