শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে

গুলিস্তান। নাম শুনলেই ঢাকার ব্যস্ততম একটি জায়গার ছবি ভেসে ওঠে। একসময় এটিই ছিলই ঢাকার প্রাণকেন্দ্র। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, ঢাকা সিটি করপোরেশনের হোল্ডিংয়ের তালিকায় গুলিস্তান নামের কোনো স্থান নেই। আছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। পাকিস্তান আমলে ছিল জিন্নাহ অ্যাভিনিউ। কীভাবে জায়গাটির নাম গুলিস্তান হলো? শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকাকোষ বলছে, গুলিস্তান সিনেমা হলের নাম অনুসারে এই জায়গার নাম হয়ে যায় গুলিস্তান।

রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রমনার ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনের উত্তরে ঢাকা জেলা ক্রীড়া মিলনায়তন এবং পল্টন মাঠের পাশে ১৯৫৩ সালে গুলিস্তান নামের এই সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঢাকায় দীর্ঘদিন যাঁরা বাস করেছেন, তাঁদের সবার স্মৃতিতেই গুলিস্তান সিনেমা হল আছে কোনো না কোনোভাবে।

বিখ্যাত এই সিনেমা হলকে কেন্দ্র করে ১৯৫৪ সালের গুলিস্তানের একটি ছবি পাওয়া গেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পুরান ঢাকার ছবি নিয়ে গ্রুপ ‘ঢাকা: ৪০০ ইয়ারস হিস্ট্রি ইন ফটোগ্রাফস’-এ। ছবিটি দেখলেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়।

আশপাশে ফাঁকা। পুরান ঢাকার স্মৃতি নিয়ে লেখা ঢাকাপুরানগ্রন্থ-এ মিজানুর রহমান লিখেছেন, ‘গুলিস্তান সিনেমার উল্টোদিকে, ওই যেখানে সাধারণ বীমা সদন, সেখানে ছিল ব্রিটানিয়া হল। তখন তো পুরো এলাকাটাই ছিল ন্যাড়া। ঘরবাড়ি বলতে তেমন কিছু ছিল না। কিছু ক্লাবঘর, এসএ গ্রাউন্ড আর বাকিটা সবুজ। এই সবুজের পটে ওই একরত্তি সিনেমা হল।’ এখন সবুজ হয়ে গেছে একরত্তি। চলচ্চিত্রবিষয়ক খ্যাতিমান সাংবাদিক অনুপম হায়াৎ লিখেছেন, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর কলকাতার চিত্র ব্যবসায়ী খান বাহাদুর ফজল আহমেদ দোশানি ঢাকায় চলে আসেন এবং এই প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করেন।

১৯৫৩ সালে আগা খান এই হলের উদ্বোধন করেন। এটি ছিল ঢাকার প্রথম শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ। প্রথমে হলটির নাম ছিল লিবার্টি। পরে গুলিস্তান করা হয়। এখানে দেশি-বিদেশি সব সিনেমা দেখানো হতো। গুলিস্তান শব্দের অর্থ ফুলের বাগান। সিনেমা হল ছাড়াও মোগল আমলের একটি কামানের জন্য জায়গাটি বিখ্যাত ছিল।

১৯৫৫ সালে গুলিস্তান হলের ওপর তলায় নাজ নামে আরেকটি সিনেমা হল চালু হয়। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে চলচ্চিত্র এবং শিল্প-সংস্কৃতির জন্য গুলিস্তান খুব বিখ্যাত ছিল। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গুলিস্তানের মালিক পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পরিণত হয় এবং ১৯৭২ সালে তা দেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে। ২০০৫ সালে তারা পুরোনো ভবনটি ভেঙে একটি নতুন শপিং কমপ্লেক্স স্থাপন করে। তবে ঢাকার মানুষের স্মৃতিতে এখনো রয়ে গেছে এই সিনেমা হল।

লেখা: শরিফুলহাসান। ছবি: হাসানরাজা

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?