এখন শুধু উইকেট দরকার টাইগারদের

একের পর ওভার পেরিয়ে যাচ্ছে। উইকেট পড়ছে না। আফগানদের অবস্থান শক্ত হচ্ছে। চিন্তায় টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কপালে ভাঁজ পড়ছে। মিরপুর স্টেডিয়ামের দর্শকদের মধ্যে উল্লাসের উপলক্ষ্য নেই। ২৬৬ রানের টার্গেট নাগালে রেখেই এগোচ্ছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের দরকার উইকেট। বোলার পরিবর্তন হচ্ছে। কাজ হচ্ছে না।
শেষ বলে অল আউট হওয়া বাংলাদেশ আগ ব্যাট করে তুলেছে ২৬৫ রান। খুব বড় রান নয় বলেই শঙ্কাটা ফিরে ফিরে আসে। যদিও ২৬৫ রান বা তার বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড আফগানদের একবারই আছে। কিন্তু ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশের দলটির সুনাম তো একটু আধটু আছেই নাকি! এই রিপোর্ট লেখার সময় তাদের সংগ্রহ ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১১৬ রান। ইনিংসের অর্ধেক শেষ। বাকি ২৫ ওভারে তাদের তুলতে হবে ১৫০ রান। ওভারে ৬ এর একটু বেশি। বাংলাদেশের নিতে হবে আরো ৮ উইকেট বা আটকে দিতে হবে ২৬৫ এর নিচে। হাশমাতুল্লা শাহিদি ৩২ ও রহমত শাহ ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশ শেষ উইকেট নিয়েছে অষ্টম ওভারে।
বিপজ্জনক মোহাম্মদ শাহজাদের ফিরে যাওয়ার কথা কোনো রান না করেই। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম বৈধ বলেই। কিন্তু ফার্স্ট স্লিপে রেগুলার ক্যাচটি ছাড়লেন ইমরুল কায়েস। ইঙ্গিতটা ভালো ছিল না। কিন্তু পরপর দুই ওভারে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের আঘাতে চাপের মুখে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে চমৎকার জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলেছেন রহমত ও শাহিদি।
শাহজাদ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই শোধ নিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। ২১ বলে ৩১ রান করে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শাহজাদ। এর পরের ওভারটি সাকিবের প্রথম। তৃতীয় বলেই তার আঘাত। অন্য ওপেনার শাবির নুরিকে (৯) এলবিডাব্লিউর ফাঁদ ফেললেন। সেই সাথে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেট শিকারের রেকর্ডে আব্দুর রাজ্জাকের (২০৭ উইকেট) পাশে বসলেন। তিন সংস্করণের ক্রিকেটেই দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বিশ্বের একমাত্র বোলার সাকিব।
এর আগে তামিম ইকবালের ৮০, মাহমুদ উল্লাহর ৬২, সাকিব আল হাসানের ৪৮ ও ইমরুল কায়েসের ৩৭ বাংলাদেশকে মাঝারি সংগ্রহটা গড়ে দিয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৯ নম্বরে তাইজুল ইসলামের ১১ সর্বোচ্চ। শেষ ৪ উইকেট পড়েছে ১৯ রানে। ৪০ ওভারে দলের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৯৬। কিছু রান তো কম হয়েছেই বটে।
সৌম্য সরকার ইনিংসের পঞ্চম বলে শূণ্য রানে আউট হয়েছেন। এরপর ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল ৮৩ রানের জুটি গড়েছেন। দশ মাস পর ওয়ানডেতে ফিরে সেই হিসেবে আর ধাক্কা খেতে হয়নি টাইগারদের। এই দুইজন বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ গেত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুট গড়েছিলেন। দুজনই করেছিলেন ৭৩ রান। কায়েসের বিদায়ের পর মাহমুদ উল্লাহ ও তামিমের ৭৯ রানের জুটি।
২০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে ফেরার সময় তামিমের সাথে অবশ্য একটা মাইলফলক ফিরেছে। তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে ৯০০০ রান করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হয়েছেন এই বাঁ হাতি। ৯৮ বলে ৮০ রানে তার বিদায়ের সময় দলের গড় রান সাড়ে চারের ওপর। মাহমুদ উল্লাহ ১৬ রান নিলেন দৌলত জারদানের এক ওভারে। কিন্তু ছন্দ পতন দ্রুত। আফগানদের চমৎকার বোলিং এবং স্বাগতিকদের কিছু ভুলে উইকেট পড়ে টপাটপ। স্লগ ওভারে স্লগ আর করা হয় না। তাই শেষ পর্যন্ত শঙ্কা উড়ে বেড়ায়। ২৬৫ রান যথেষ্ট তো?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন