শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মক্কা শরীফের ইতিহাসে প্রথমবারের মত যে ছবি তোলা হয়

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মাঝে মক্কা একটি পবিত্র স্থান। বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠি মক্কা নগরীতে সমবেত হন। বহুকাল আগে থেকেই মক্কা নগরী মুসলিম জনগোষ্ঠির জন্য উন্মুক্ত হলেও কোনো চিত্রশিল্পী বা আলোকচিত্রীর সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল দীর্ঘসময়। ১৮৮৫ সাল নাগাদ সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথীল হয়। ধারণা করা হয় ১৮৮৫ থেকে ১৮৮৮ সালের মধ্যকার কোনো এক সময় মক্কায় বসবাসরত এক চিকিৎসক প্রথম মক্কার একটি ছবি তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে আরও অনেক আলোকচিত্রী এই পবিত্র স্থানের ছবি তুললেও আজও স্মরণীয় হয়ে আছে সেই চিকিৎসকের তোলা ছবিটি।

আব্দু আল ঘাফর নামে এক চিকিৎসক বাস করতেন মক্কা নগরীতে। ১৮৮৫ সাল নাগাদ তিনি প্রথম ইউরোপীয় খ্রিস্টান আলোকচিত্রী সনুক হার্গার্জোনের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন। ওই খ্রিস্টান আলোকচিত্রী পরবর্তী সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন বলেও জানা যায়। কিন্তু কূটনৈতিক কারণে একটা সময় তাকে মক্কায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং নিজ দেশ হল্যান্ডে ফিরে যান তিনি। সেসময় তিনি তার বন্ধুসম অংশীদার আব্দু আল ঘাফরের কাছে সকল যন্ত্রপাতি রেখে যান। এই যন্ত্রপাতি দিয়েই পরবর্তী সময়ে ঘাফর মক্কা নগরীর বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন, যা বর্তমান বিশ্বে দুর্লভ ছবিগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

সেই খ্রিস্টান আলোকচিত্রী ১৮৮৯ সালে কোনো আরবি বর্ননা ছাড়াই এবং ঘাফরের নাম উল্লেখ না করেই মক্কার ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী করেছিলেন। সুতরাং দীর্ঘসময় পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে অজানাই ছিল ওই ছবিগুলো আসলে কে তুলেছিলেন। কিন্তু ১৯৮১ সালের দিকে এফ.এস. অ্যালেন এবং সি. গ্যাভিন নামের দুই ভদ্রলোক মক্কার ওই ছবিগুলো গবেষণা করে এর আসল আলোকচিত্রীর নাম উদ্ধার করেন। সেই সময় মোহাম্মদ সাদিক বে নামের এক মিশরীয় ব্যক্তির সহায়তায় এই তিন ব্যক্তি মিলে একটি বই প্রকাশ করেন। সেই বইয়ের নাম দেয়া হয়েছিল, ‘টু দ্য হলি ল্যান্ডস: পিলগ্রিমেজ সেন্টারস ফ্রম মক্কা অ্যান্ড মদিনা টু জেরুজালেম’। বর্তমানে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষনাগারে ওই বইটির কপি সংরক্ষিত আছে। যদিও মূল কপিটি ঠিক কোথায় আছে তা এখনও কেই জানেন না।

অবশ্য মিসরের সেনাবাহিনীর প্রকৌশলী মোহাম্মদ সদিক বে দীর্ঘদিন দাবি করেছিলেন যে, তিনিই সর্বপ্রথম মক্কার ছবি তুলেছিলেন। বেশ কয়েকবার তিনি মক্কায় হজ করতে যান এবং তার দাবি অনুযায়ী ওই যাত্রাকালীন সময়েই তিনি ছবিগুলো তুলেছিলেন। কিন্তু গ্লাস প্লেটে তোলা সাদিকের ছবিগুলো পরবর্তী সময়ে প্রমাণে ব্যর্থ হয় যে, এই ছবিগুলোই মক্কার প্রথম ছবি। এরপর অবশ্য আরও অনেক আলোকচিত্রী বিভিন্ন সময় মক্কার কাবা শরীফের ছবি তুলেছিলেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি

পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন

সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু

সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন

ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ
  • দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদের নামাজ শেষে চলছে কোরবানি
  • হাজিদের গরম থেকে বাঁচাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করলো সৌদি
  • জমজমাট শপিংমল-মার্কেট
  • ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান
  • উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা হবে নির্ঝঞ্জাট
  • শিকড়ের টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাকা হচ্ছে ঢাকা
  • জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও বিপণন প্রশিক্ষণ
  • ঈদযাত্রায় এবার ১২ জায়গায় ভোগান্তির শঙ্কা
  • সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৮২ হাজারের বেশি হজযাত্রী