যেহেতু মুমিনুল ফিরেছেনঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনে কে- ইমরুল না মুমিনুল?
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরের নেটে মঙ্গলবার পাশাপাশি ব্যাটিং করলেন ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। সামনের পায়ে ভর করে পেছনের পা হালকা উঁচিয়ে রুবেল হোসেনকে চোখজুড়ানো এক স্ট্রেট ড্রাইভ খেললেন মুমিনুল। পাশের নেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে এগিয়ে এসে ইমরুলের দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভ।
দুজনের স্বচ্ছন্দ ব্যাটিং দেখে কি ধন্দে পড়ে গেলেন দুই নেটের মাঝে দাঁড়ানো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে? প্রথম যে দল দেওয়া হয়েছিল, তাতে বোঝা যাচ্ছিল তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশনটা হাথুরু ইমরুলের জন্যই বরাদ্দ রেখেছেন। কিন্তু পরে মুমিনুল দলে ফেরায় তিন নম্বর জায়গাটা এখন ধাঁধা হয়ে গেছে।
মুমিনুল নাকি ইমরুল, কাকে বেছে নেবেন কোচ, সেটির উত্তর মিলবে ২৭ আগস্ট ঢাকা টেস্টে। তবে মুমিনুলের সঙ্গে ইমরুলের এই প্রতিযোগিতায় যেতেই হয় না, যদি ওপেনিংয়ে তিনি জায়গাটা না হারাতেন সৌম্য সরকারের কাছে। বাংলাদেশ এ বছর যে চারটি টেস্ট খেলেছে, প্রতিটিতেই তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করেছেন সৌম্য।
এই চার টেস্টে ৪ ফিফটিতে তাঁর রান ৩৭৪। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তামিমের সঙ্গী হিসেবে সৌম্যকেই যে রাখতে চান হাথুরু, সেটি না বললেও চলছে। আবার ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে নিয়মিত তিনে নামা মুমিনুলকে যে এবার এই পজিশনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবেন, সেটির নিশ্চয়তাও নেই।
টিম ম্যানেজমেন্ট আগে থেকেই বলছে, যতটা সম্ভব শ্রীলঙ্কায় শততম টেস্টের দলটা ধরে রাখতে। সেটি হলে তিনে ইমরুলের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল উদ্বোধনী জুটির অংশ হয়েও ওপেনিংয়ে না খেলে তিনে খেলা, কতটা কঠিন ইমরুলের কাছে? সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি ওপেনারের সতর্ক উত্তর, ‘এটা আসলে মানিয়ে নিতে হয়।
তামিমকে যদি দেন, ও পারবে না। একটা সময় আমিও পারতাম না। তারপরও মানিয়ে নিতে হচ্ছে। দলের জন্য যেটা ভালো হয়, সেভাবেই খেলতে হবে।’ তিনে খেলাটা কতটা কঠিন একজন ওপেনারের কাছে? ইমরুল বললেন, ‘আমি মনে করি, জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলাটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। ব্যাটিংয়ের জায়গা নিয়ে নিজের একটা পছন্দ ঠিকই থাকে।
কিন্তু দল যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই করতে হবে। দুই জায়গায় ব্যাটিং করতে রাজি—ওপেনিং বা তিন নম্বর, যেটাই হোক সমস্যা নেই।’ সমস্যা একটা আছে। যেহেতু মুমিনুল ফিরেছেন, তিন নম্বরে ব্যাটিং করা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে ইমরুলেরও। ২৮ টেস্ট খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যদিও এটা ইতিবাচকভাবেই দেখছেন, ‘সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকলে সেটা দলের জন্য ভালো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন