সুন্দরী মেয়েরা কখনো সিঙ্গেল থাকে না…
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা।
“তখন ২০০৭। আমার এস.এস.সি পরীক্ষার পর ফোনে একটি ছেলের সাথে পরিচয় হয়। সে আগেই আমায় কোচিং সেন্টারে দেখে এবং আমার নাম্বার কালেক্ট করে। ধীরে ধীরে বেশ ভালই ফ্রেন্ডশীপ হয় আমাদের। ওর বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথেও পরিচয় হয়। কিন্তু এক বছর যেতেই ওর বন্ধু আমায় প্রপোজ করে। খুব কান্নাকাটিও করে, আমি রাজি হইনি। কারণ,আমি ওকেই পছন্দ করতাম ওর বন্ধুকে না।
এইচ.এস.সি পরীক্ষার কিছুদিন আগে ও আমায় প্রপোজ করে এবং আমি রাজি হই। ওর বন্ধুটা আমাদের রিলেশনে অনেক প্যাঁচ করে, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ও রেজাল্টের পর ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে EEE তে র্ভতি হয় আর আমি চট্রগ্রামের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে র্ভতি হই। রিলেশনের তিন বছর পর ও আমায় বলে ওর আগে একটা রিলেশন ছিল। ছয় মাস টিকে ছিল। আর ওর মা-বাবা নেই, যাদের ও মা বাবা বলে তারা আসলে ওর চাচা চাচি। তারপরও আমাদের রিলেশন ভালই চলছিল। কারণ আমি ওকে খুব ভালবাসতাম। খুব কম দেখা হত আমাদের কিন্তু কথা হত নিয়মিত। ও চট্রগ্রাম আসত শুধু ঈদের সময় আর আমি তখন বাসার কাজ, গেস্ট নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতাম। আর এইটা নিয়ে ও খুব ঝগড়া করত, আমি তাকে লাভ করি না, এইসব বলতে থাকে। আর আমার সাথে রাগ করে ছয়মাস যোগাযোগ করেনা খুব কষ্ট পেয়েছি তখন।
অনেক ম্যাসেজ দিলাম কিন্তু রিপ্লাই নেই। অনেকদিন পর একদিন সে দেখা করল। আমরা একসাথে দুইঘন্টা ছিলাম, ও জোর করে আমায় খাওয়ালো। কিন্তু আমি কিছুই বলালাম না, শুধু বলেছি “আর দেখা হবে না, কখনোও না” । ও কথাটা হেসেই উড়িয়ে দিল। ৫ বছরের সর্ম্পক আমি পারবো না ওকে ছাড়া থাকতে এইসব বলল। কিন্তু আমি সকল যোগাযোগ এমন কি আমার নাম্বার পালটে ফেললাম ও ফেসবুক থেকে ব্লক করে দেই।
আজ ৩ বছর আমি সিংগেল আছি, আমার পোস্ট গ্রাজুয়েশন হয়ে গেছে। আপাতত বিয়ে করার ইচ্ছেও নেই। কিছুদিন আগে ও আমার মোবাইল নাম্বর কালেক্ট করে আমায় কল দেয়। ওর একটাই কথা আমার সাথে দেখা করতে চায়। অনেক রিকুয়েস্ট করছে কিন্তু ,আমি রাজি হচ্ছিনা। আসলে ওর প্রতি আমার এখন কোন ফিলিংসই নেই। আমি যে সিংগেল তা আমার আসে পাশের কেউ বিশ্বাস করেনা। তাদের ধারণা দেখতে সুন্দর মেয়েরা সিংগেল থাকেনা। আর আমি কোন রিলেশনেও যেতে পারছিনা।
ঐ দিকে আজও সে আমায় বলে যে আমায় ভালবাসে। আমার সাথে দেখা করতে চায়। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কী করবো? দেখা করবো কিনা তাও বুঝতে পারছিনা? আমার ফ্যামিলি বেশ উচ্চ শিক্ষিত ও গুছানো আর ওর পরিবার বলতে ওর চাচা চাচির পরিবার। খুব দ্বিধা দ্বন্দে আছি।”
পরামর্শ:
আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, আপনি এভাবে হুট করে সম্পর্ক ভেঙে দিলেন কেন। তাও আবার পাঁচ বছরের সম্পর্ক। ছেলেটি ঈদের একটা বিশেষ দিনে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে চাইতেই পারে। সেটা না পেয়ে একটু অভিমান করতেই পারেন। তিনি রাগ করে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছিলেন, তারপর অভিমান ভুলে নিজেই ফিরে এসেছেন। তখন তো আর হুট করে সম্পর্ক শেষ করা যায় না। আমার মনে হয় কাজটি আপনি ভুল করেছেন। কারণ সব কিছু জেনে ছেলেটিকে আমার খারাপ মানুষ মনে হচ্ছে না। একটা মানুষের মা বাবা নেই, এটা তো তাঁর দোষ হতে পারে না। বরং সেটার জন্যই তিনি আরও বেশী ভালোসার দাবীদার।
অন্যদিকে আপনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন যে ছেলেটির প্রতি আপনার কোন ফিলিংস নেই। সেক্ষেত্রে ছেলেটির সাথে দেখা করা বা তাঁকে ঝুলিয়ে রাখার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি তাঁকে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিন যে আপনি আর তাঁকে ভালোবাসেন না। তাঁর সাথে সম্পর্কে জড়াতেও আগ্রহী নন। ছেলেটির সাথে দেখা করলে তাঁর ভালোবাসা হয়তো আরও একটু বাড়বে। তাতে মানুষটা আরও বেশী কষ্ট পাবেন। এটা করা উচিত হবে না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
আমি কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা আইনজীবী নই। কেবলই একজন সাধারণ লেখক আমি, যিনি বন্ধুর মত সমস্যাটি শুনতে পারেন ও তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন। পরামর্শ গুলো কাউকে মানতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কেউ যদি নতুন কোন দিক নির্দেশনা পান বা নিজের সমস্যাটি বলতে পেরে কারো মন হালকা লাগে, সেটুকুই আমাদের সার্থকতা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন