স্বামীকে ‘মোটা হাতি’ বলায় বিবাহবিচ্ছেদ
অতিরিক্ত মেদ বিশিষ্ট লোকটির চেহারা পছন্দ ছিলনা পত্নীর। সেইসঙ্গে যৌনতাতেও পারদর্শী ছিলেননা তিনি। সেই নিয়ে দাম্পত্য কলহ ছিল নিত্যসঙ্গী। স্থূলকায় চেহারার জন্য পত্নী তাঁকে ‘মোটা হাতি’ সর্বনামে অভিহিত করেছিল। এই নিয়েই মামলা গড়াল আদালতে। স্ত্রী ‘মোটা হাতি’ বলায় বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করলেন। আর তাঁর আবেদনেই সম্মতি দিল আদালত। ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।
যদিও এই মামলায় তাঁর জয়যাত্রার শুরু হয়েছিল চার বছর আগে ২০১২ সালে। ‘মোটা হাতি’ সর্বনামে ভূষিত হয়ে মামলায় ওই বছরেই তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। এরপর আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পালটা মামলা করেছিল তাঁর স্ত্রী। কিন্তু বছর চারেক পরে শেষ হাসি হাসলেন ‘মোটা হাতি’ সর্বনামের পতিই।
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘীর রায় অনুযায়ী, “কাউকে ‘মোটা হাতি’ বলা বা তাঁর শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কটাক্ষ করা আত্মসম্মান আঘাত করার সামিল।” উক্ত মামলায় ওই ব্যক্তির তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তাঁকে মাঝে মাঝেই মারধর করত তাঁর স্ত্রী। কখনও বা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিত।
একইসঙ্গে বধূনির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকিও তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ ২০০৫ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ব্যক্তি যৌন সঙ্গমের জন্য উদ্যত হলে তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাত করে তাঁর স্ত্রী।
সব অভিযোগ ভালো করে খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত মহিলার আবেদন খারিজ করে বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষেই রায় দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন