অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে চাইলে বাচ্চাকে ব্রেস্টফিডিং করান
শিশুর স্বাস্থ্য বা পুষ্টির কথা ভেবে আজকাল ডাক্তাররা বেশি করে ব্রেস্টফিডিং করানোর পরমার্শ দেন। সব মায়েরাই যে ডাক্তারের কথা শোনেন, এমনটা নয়। নানা ভ্রান্ত ধারণায়, নিজের ফিগার ধরে রাখতে অনেক মাই বাচ্চাকে স্তন্যপান থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু ঘটনা হলো, মায়ের নিজের বেঁচে থাকার জন্যই বাচ্চাকে স্তন্যপান করানো জরুরি। স্তন্যপানে যতটা বাচ্চার উপকার হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি উপকার হয় মায়ের। এমনটাই বলছে রিসার্চ। গবেষকদের কথায়, স্তন্যদান আসলে মায়েরই ‘লাইফসেভার’।
অনলাইনে গবেষণা রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে ‘মেটারন্যাল অ্যান্ড চাইল্ড নিউট্রিশন’। সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, শিশুর স্বাস্থ্যের সঙ্গে যদি তুলনা করা যায় তা হলে বলতে হয়, শিশুর থেকে মায়ের নিজের স্বাস্থ্যের কারণে ব্রেস্টফিডিং করানো জরুরি। কারণ তা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায়। যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের উদ্দেশে গবেষকরা পরমর্শ দিয়েছেন, বাচ্চাকে স্তন্যপান করান।
এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, আমেরিকায় মা ও শিশুর বছরে ৩,৪০০ অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে সাবঅপটিমাল ব্রেস্টফিডিং-এর। ছয় মাসের কম সময় তাঁরা বাচ্চাকে বুকের দুধ দিয়েছেন। হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস ও ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোমই এই অকালমৃত্যুর কারণ। যার নেপথ্যে রয়েছে অপর্যাপ্ত ব্রেস্টফিডিং।
এই গবেষক দলের অন্যতম ডক্টর মেলিসা বার্টিক বলেন, এর সঙ্গে ‘ভালো মা’ বা ‘খারাপ মা’ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বাচ্চার প্রতি মা কতটা কেয়ারিং সেসব ভেবে ব্রেস্টফিডিং করানোর চেয়ে বরং নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বাচ্চাকে স্তন্যপান করান।
সূত্র-এই সময়
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন