অটোচালক থেকে ঔপন্যাসিক হওয়া চন্দ্রণ শুধু লিখতেই চান

অটোচালক চন্দ্রকুমার একটা সময়ে অবসরে তার অটোতে বসেই লেখালিখি করতেন। কিন্তু এখন আর তিনি তা করতে পারছেন না। তিনি জানান, “লোকে এখন আমাকে দেখলেই কথা বলার জন্য এগিয়ে আসে। ফলে লেখালেখি করার জন্য আমি এখন নিজেকে ঘরের মধ্যেই বন্দি করে রাখি”।
চন্দ্রণের প্রথম উপন্যাসের নাম লকআপ। উপন্যাসটি অবলম্বনে ভিসারানাই নামের একটি সিনেমাও বানানো হয়েছে। পরিচালক ভেট্রিমারান অভিনেতা ধানুশের উন্ডারবার ফিল্মস এর ব্যানারে সিনেমাটি বানিয়েছেন।
চলতি বছরের প্রথমদিকে সিনেমাটি মুক্তি পায়। সমালোচক মহলে সিনেমাটি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। আর সব মহলেই চন্দ্রণ প্রশংসিত হয়েছেন।
ভারতের ৬৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে সিনেমাটি তামিল ভাষায় সেরা ফিচার ফিল্মের খেতাব জিতেছে। ভেনিসের ৭২তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও সিনেমাটির প্রদর্শনী হয়েছে। সিনেমাটি ৮৯তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য লড়বে ভিসারানাই।
গর্বিত চন্দ্রণ গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ফোন কলের উত্তর দিতে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি বন্ধু, শুভাকাঙ্খী এবং সাহিত্যিকদের কাছ থেকে ৩৫০টিরও বেশি ফোন কল পেয়েছি।”
“ভেট্রিমারান, ধানুশ এবং প্রয়াত সম্পাদক কিশোরসহ আমি আমার টিমের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারাই আমার গল্পটি অসংখ্য লোকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আর এখন এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
চন্দ্রণের জীবন এখন আর আগের মতো নেই। যদিও তিনি এখনো কোয়িম্বাতোরের রাস্তায় অটো চালান তথাপি তার বন্ধু মহল এবং শুভাকাঙ্খীর পরিধিও কয়েকগুন বেড়েছে। তিনি বলেন, “তার উপন্যাস নিয়ে সিনেমা তৈরির পর প্রায় ১০ হাজার কলেজ শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে।” এতে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন চন্দ্রণ। তিনি বলেন, “একজন লেখক এর চেয়ে বেশি আর কীইবা আশা করতে পারেন”।
১৯৯৭ সালে চন্দ্রণ তার উপন্যাস লকআপ লেখা শুরু করেন। অন্ধ্র প্রদেশের একজন সহায় সম্বলহীন যুবক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে উপন্যাসটি লিখেছেন চন্দ্রণ।
চন্দ্রণকে একবার সন্দেহবশত একটি মামলায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তিনি টানা দু্ই সপ্তাহ লকআপে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সে সময়ে চন্দ্রণ যে নির্মম নির্যাতরেন শিকার হয়েছেন তার কথা মনে পড়লে আজও চন্দ্রণের কান্না পায়। ২০০২ সালে উপন্যাসটি লেখা শেষ করেন চন্দ্রণ। আর এটি প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে।
চন্দ্রণ ইতিমধ্যেই দুটি উপন্যাস লিখে ফেলেছেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এরপর তিনি কী করতে চান? উত্তরে চন্দ্রকুমার জানান তিনি লেখালেখি অব্যাহত রাখতে চান। চন্দ্রণ বলেন, “কে জানে এরপরে কী ঘটবে? সময়ই বলে দেবে কী হবে না হবে।”
সূত্র: দ্য হিন্দু
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন